জোবায়ের আহম্মেদ অভি: ‘ডন ব্র্যাডম্যানের পরেই মুমিনুল!’ সর্বশেষ সিরিজে এমন একটা শিরোনামে অনেকে হকচকিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শিরোনামটি তো আর মিথ্যা নয়। টেস্টে কমপক্ষে ২০ ইনিংসে ব্যাট করেছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বকালের অবিসংবাদিত সেরা ব্যাটসম্যান স্যার ডনের পরই মুমিনুল হকের নাম। এখন তাঁর ব্যাটিং গড় দেখাচ্ছে ৬৩.৯০! আর কোনো ব্যাটসম্যানেরই ৬১ ব্যাটিং গড়ই নেই! ৬০.৯৭ গড় নিয়ে মুমিনুলের পরে আছেন আরেক কিংবদন্তি গ্রায়েম পোলক।
ব্যাটিং গড় তাঁর আশ্চর্য ধারাবাহিকতার কথাই বলে। আজও যেমন ফিফটির দেখা পেলেন এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। কমপক্ষে ফিফটি পেয়েছেন আগের নয় টেস্টেও। ফলে ১০ টেস্টে পঞ্চাশের বেশি ইনিংস খেলার রেকর্ডের খাতায় নাম লেখালেন। যে রেকর্ডটি আছে অন্তত পরিসংখ্যান বিবেচনায় সর্বকালের সেরা শচীন টেন্ডুলকারের। আর আছে ইংলিশ ক্রিকেটের বিখ্যাত ‘এডরিচ পরিবারে’র সবচেয়ে ছোট জন—জন এডরিচের।
গত বছর নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুমিনুল অপরাজিত সেঞ্চুরি করার পরই করে ফেলেছিলেন টানা ৯ টেস্টে পঞ্চাশের বেশি ইনিংস খেলার রেকর্ড। মুমিনুলের পাশে তখন ছিলেন সাঙ্গাকারা, ম্যাথু হেইডেন, সাইমন ক্যাটিচ, স্যার এভারটন উইকস, অ্যালেক স্টুয়ার্ট এবং জ্যাক ক্যালিস। কিন্তু এবার ছাড়িয়ে গেছেন তাঁদেরও।
সবচেয়ে বেশি টানা ১২ টেস্টে পঞ্চাশের বেশি ইনিংস খেলার রেকর্ড এবি ডি ভিলিয়ার্সের। তবে সেটাও এখন হুমকির মুখে। মুমিনুল তার ক্যারিয়ারের ১৩ টেস্টের মধ্যে শুধু একটি ম্যাচেই কোনো সেঞ্চুরি বা ফিফটি পাননি। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছিলেন ২৩ ও ২৯। এর যেকোনো একটি ফিফটিতে পরিণত হলেই আজ ডি ভিলিয়ার্সকে ছাড়িয়ে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টানা ১৩ ম্যাচে পঞ্চাশের বেশি ইনিংস খেলার রেকর্ড হয়ে যেত মুমিনুলের। হয়নি, তাতে কী! মুমিনুলের সামনে এখনো সেই তো সুযোগ আছেই।
মুমিনুল তো এখন আশ্চর্য রকমের ধারাবাহিকতার সমার্থক!
আরও খবর