‘বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সারসংক্ষেপে অনুমোদন করেছেন। রাজধানীর আশকোনায় বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশন ১২ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে।
২৭ মার্চ সোমবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রণয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ এবং সিলেবাস প্রণয়ন-সংক্রান্ত এক সভা সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
সভার বিবরণীতে বলা হয়, এভিয়েশন ক্ষেত্রে উচ্চমানের শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে সামরিক এবং বেসামরিক মানবসম্পদ উন্নয়নসহ জ্ঞানভিত্তিক কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমাজ গঠনই এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্য। শুরুতে তিনটি অনুষদের অধীন ১০টি বিভাগ থাকবে। বিভাগগুলোর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্সে আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। এভিয়েশন ইউনিভার্সিটির ‘এডুকেশন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের’ অংশ হিসেবে শুরুতে লন্ডনের মিডলসেক্স ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং জ্যাকসন ভিল ইউনিভার্সিটি (ইউএসএ) এবং মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি তুন হোসেন ওনের সঙ্গে ‘এডুকেশন এক্সচেঞ্জ ও ক্রেডিট ট্রান্সফার’-এর ব্যবস্থা থাকবে।
বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার বলেন, বিমানবাহিনীতে পিএইচডি, এমফিল এবং এমএস করা প্রচুরসংখ্যক বিদেশে প্রশিক্ষিত যোগ্য কর্মকর্তা রয়েছেন এবং অবসরপ্রাপ্ত অনেক কর্মকর্তাই এভিয়েশন ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। তাদের সহযোগিতায় আগামী তিন বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নীত করা সম্ভব হবে।
সভায় বিমান ও পর্যটনসচিব এস এম গোলাম ফারুক, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরীসহ, বিমান বাংলাদেশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।