কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে বাংলাদেশি যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েই চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের নামে এদেশের যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে রাখা হয় সেখানকার ইমিগ্রেশন। এ ছাড়া নানান ধরনের হয়রানির সম্মুখীনও হতে হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
মালিন্দো এয়ারের ওডি-১৬৫ ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর গিয়েছিলেন বাংলাদেশি পর্যটক সাইদ রকিবুল হাসান। ৭ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ থেকে নামার পর পরই সেখানকার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের হয়রানির মুখে পড়েন তিনি। ভিসা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও এন্ট্রি সিল না দিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আলাদা কক্ষে।
এ ছাড়া একই পরিস্থিতিতে পড়েন ওই ফ্লাইটের ৪২ যাত্রীর সবাই। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাদের সবাইকে আটকে রাখা হয় প্রায় ১২ ঘণ্টা। এর পর ৮ ফেব্রুয়ারি ফিরতি ফ্লাইটেই তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, ঢাকা ফেরত আসার পর এখন পর্যন্ত নিজেদের লাগেজও বুঝে পাননি তাদের অনেকেই।
ভুক্তভোগী সাইদ রকিবুল হাসান বলেন, ‘ভিসাসহ যাবতীয় কাগজ ঠিক থাকার পরও একই ফ্লাইটের ৪২ জন যাত্রীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে যাওয়া বাজেট ক্যারিয়ারের যাত্রীদের ক্ষেত্রেই এ ধরনের হয়রানি বেশি হচ্ছে বলে সেখানকার কয়েকজন বিমানবন্দর কর্মী জানিয়েছেন।’
সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, মালয়েশিয়ার শিপাং কেএলআই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে এক সপ্তাহের বেশি দিন আটকে রাখা হয়েছে ৫০ জনেরও অধিক বাংলাদেশি যাত্রীকে। এদের মধ্যে মালিন্দো এয়ার, এয়ার এশিয়া ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজে যাওয়া যাত্রীর সংখ্যাই বেশি।
কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে কর্মরত বাংলাদেশি একটি এয়ারলাইনসের এক কর্মকর্তা জানান, আটকদের মধ্যে কেউ কেউ এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে যাদের রিটার্ন টিকিট আছে, তাদের ফিরতি ফ্লাইটে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশীয় হাইকমিশন থেকে ভিসা নিয়ে সেখানে রওনা হওয়া এসব যাত্রীকে কী কারণে হয়রানি করা হচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে না।