অন্য রকম অক্ষয় কুমার

অন্য রকম অক্ষয় কুমার।

২০০৮ সালে সিঙ্গাপুরে ‘সিং ইজ কিং’-এর শুটিংয়ে ৭১ তলা ভবনে হেঁটে উঠেছিলেন অক্ষয় কুমার! অভিনেতার ফিটনেস সম্পর্কে বোঝাতে এটাই সবচেয়ে চালু গল্প। এত দিন ধরে তিনি যেভাবে কঠোর খাদ্যাভ্যাস আর ব্যায়ামের মাধ্যমে ফিটনেস ধরে রেখেছেন তা সাধারণ মানুষ তো বটেই, অন্য অভিনেতাদের কাছেও অবিশ্বাস্য। এক সাক্ষাৎকারে বেশ কয়েকটি ছবিতে তাঁর সহ-অভিনেতা রাজেশ শর্মা বলেছিলেন, ‘ওরে বাবা, অক্ষয় অন্য জিনিস। একটা লোক বারো বছর ধরে নুন খায় না! ভাবা যায়? ডাল, তরকারি—কিছুতেই লবণ খায় না। এমন অধ্যবসায় আমাদের পক্ষে সম্ভব না।’ লবণ তো বাদ দিয়েছেন বারো বছর হয়েছে, তার আগে ছেড়েছেন চা-কফি। ‘২৬ বছর আগে যখন অভিনয় শুরু করি, তখনকার ঘটনা। এক স্টুডিওতে গেছি ডাবিংয়ের কাজে। আমি চা-কফি খাই না শুনে তাঁরা এমনভাবে তাকাচ্ছিলেন, যেন ভিনগ্রহের কাউকে দেখছেন। একজন তো ব্যঙ্গ করে বলেই ফেলেছিলেন, বলিউডে এসে গেছো, বাবা। চা-কফি তো কোন ছাড়, আরো অনেক কিছুই খাওয়া শিখে যাবে। আমি অবশ্য এসব খাওয়া না শিখেই টিকে আছি,’ বলেন অক্ষয়। অভিনেতা প্রতিদিন ভোর ৪টায় ওঠেন, ঘুমিয়ে যান রাত ৯টার মধ্যেই। রাতের খাওয়া সেরে ফেলেন সন্ধ্যা ৬টা-সাড়ে ৬টায়। ৫০ বছর বয়সেও নিজের এতটা প্রাণশক্তির উৎস মানেন তাঁর এই রুটিনকে, ‘সকাল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভোরবেলা আমি দুই ঘণ্টা নিজের মতো কাটাই। হাঁটি, জগিং করি বা সাঁতার কাটি। এই সময়টা একান্তই আমার। এ দুই ঘণ্টাই আমাকে পুরো দিনের জন্য তৈরি করে দেয়। আমি দ্রুতই ঘুমিয়ে পড়ি, এ জন্য কোনো পার্টিতে যাওয়া হয় না। গেলেও আগেই ফিরে আসি। এ জন্য আমি রাতের শিফটে পারতপক্ষে কাজ করি না।’ অক্ষয় বরাবরই নিজের স্টান্ট নিজেই দিয়ে থাকেন। এ জন্য তাঁকে ‘বলিউডের জ্যাকি চান’ বলা হয়।

বলিউডে এত দিন কাটিয়ে দিলেও তাঁর তেমন কোনো স্ক্যান্ডাল নেই। বিশেষত ২০০১ সালে টুইঙ্কেল খান্নাকে বিয়ে করার পর তাঁর কোনো বদনামই শোনা যায়নি। অভিনেতা বলেন, পরিবার তাঁর এতটাই প্রিয় যে বাইরে তাকানোর দরকার হয়নি। বলিউডে হাতে গোনা অভিনেতার একজন অক্ষয়, যিনি রবিবার কখনো কাজ করেন না। বরাদ্দ রাখেন পরিবারের জন্য। বছরে অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টা ট্যুর দেন পরিবার নিয়ে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.