যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বুধবার হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছে। পুলিশি অবিচারের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভে সবার জন্য সমান আচরণ দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটির মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোর শহরে পুলিশি হেফাজতে আহত আফ্রিকান-আমেরিকান যুবক ফ্রেডি গ্রের (২৫) মৃত্যুর ঘটনার জেরে এই বিক্ষোভ হয়।
বাল্টিমোরে দ্বিতীয় রাতের মতো কারফিউ চলে। তবে সেখানে নতুন করে কোনো সহিংসতা ঘটেনি। শহরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
গ্রের শেষকৃত্য হয় গত সোমবার। এর কয়েক ঘণ্টা পর থেকে বাল্টিমোরে ব্যাপক সহিংস-বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ মোকাবিলায় গত মঙ্গলবার শহরটিতে জরুরি অবস্থা এবং এক সপ্তাহের জন্য সান্ধ্য আইন (কারফিউ) জারি করা হয়।
গ্রের মৃত্যুর ঘটনার জেরে গতকাল ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, বোস্টন, হাউসটন, মিজৌরি, সিয়াটল, ডেনভার প্রভৃতি শহরে বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ হয় বাল্টিমোরেও। সব জায়গাতেই বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। তবে নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, তারা ৬০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিক্ষোভে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীও অংশ নেয়। জনাথন ব্রাউন নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর পুলিশ যে অবিচার করছে, তার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করছি। এই অবিচার বন্ধ হওয়া উচিত।’
বাল্টিমোরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডের প্রায় তিন হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফ্রেডি গ্রে গত ১৯ এপ্রিল মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি এক সপ্তাহ গভীর অচেতন অবস্থায় (কোমা) ছিলেন। তিনি ঠিক কোথায় এবং কখন মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন, তা তদন্ত করছে বিচার বিভাগ। গ্রেকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের ছয় সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও খবর