গর্ভপাত প্রতিরোধের উপায়

গর্ভপাত প্রতিরোধের উপায়।

গর্ভপাতের কারণে শুধু হবু মায়েরই নয়, নষ্ট হয় একটি পরিবারেরও অনেক স্বপ্ন। নতুন অতিথিকে ঘিরে অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা গড়ে ওঠে যা গর্ভপাতের কারণে আলোর মুখ দেখতে পায় না। তাই গর্ভপাত প্রতিরোধে মেনে চলতে হবে কিছু বিষয়। এই নিয়মগুলো মেনে চললে গর্ভপাত প্রতিরোধ করা সম্ভব-
গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাস ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এসময় যেকোনো মাকে একটু সাবধানে থাকতে হবে। ভারী কাজ করা ও সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। পূর্বে কোনো রোগের ইতিহাস থাকলে ডাক্তারকে জানাতে হবে। পূর্বে একাধিকবার গর্ভপাত হয়ে থাকলে পুনরায় গর্ভধারণের আগে ফিজিক্যাল চেকআপ করিয়ে নিন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন। পূর্বের গর্ভপাতের কারণ জানতে চেষ্টা করুন। পরবর্তীতে যাতে একই কারণের পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া দীর্ঘ ভ্রমণ করা যাবে না।

প্রচুর পানি পান করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলিক এসিড, আয়রন ও ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন। এটি বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি হওয়ার প্রবণতাকে কমিয়ে দেয় এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া ধূমপান, অ্যালকোহল, ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় যেমন চা, কফি বা চকলেট এবং মানসিক চাপের সাথে গর্ভপাতের সর্ম্পক রয়েছে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

গর্ভাবস্থায় বেশি সতর্ক থাকতে হয় ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে। কারণ অনেক ওষুধ এমন আছে যার ফলে গর্ভের সন্তানের সরাসরি ক্ষতি সাধিত হয়। শিশু বিকলাঙ্গ, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হতে পারে। অনেক সময় ওষুধ সেবনের ফলে মৃত সন্তানের জন্মও হতে পারে। তাই ওষুধ সেবনের আগে সতর্ক থাকতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না।
গর্ভকালীন সময়ে হরমোনজনিত কারণে বা পারিপার্শিক কারণেও মা অনেক সময় বিষণ্ণ বোধ করেন। এর সাথে যদি থাকে পূর্বের গর্ভপাত বা মৃত সন্তান প্রসবের ইতিহাস তাহলে তো কথাই নেই, অনাগত সন্তানের সুরক্ষার দুঃশ্চিন্তায় ঘটে যেতে পারে যেকোনো দুর্ঘটনা। তাই এসময় পরিবারের সকল সদস্যদের উচিত মাকে সবসময় সাহস দেয়া এবং মায়ের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। মায়ের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পূর্ণ বিশ্রামের ব্যাবস্থা করা।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.