এভিয়েশন নিউজ: মনিকা-ক্লিনটন যৌন কেলেঙ্কারি ঘটনা মানুষ বিস্মৃতপ্রায়। এখন নতুন করে আবার জেগে উঠেছে সে বিতর্ক। আর সে বিতর্ক জাগিয়ে তুলেছেন মনিকা লিউনস্কি নিজেই। ষোল বছর পরে এসে মুখ খুললেন মনিকা। বিল ক্লিনটন রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ১৯৯৮ সালে মনিকা লিউনস্কির সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে দারুণ বিপাকে পড়েছিলেন। এতদিন পর তিনি বললেন, ওই ঘটনার পর চুপ করে থাকায় তার বদনাম হয়েছে।
তার সেই নীল রঙা স্কাটকে ঘিরে যে ‘বদনাম’ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল, তা নিয়ে এবার স্বপক্ষে মন্তব্য করায় ‘মনিকা-ক্লিনটন’ ফের সংবাদ শিরোনামে। মার্কিন প্রশাসনের সর্বোচ্চ কার্যালয় হোয়াইট হাউসের কর্মী ছিলেন মনিকা। তখন তার বয়স ২০ বছর। আর মার্কিন মুলুকে শোরগোল পড়ে যাওয়া তার নীল স্কার্টে পাওয়া গিয়েছিল হোয়াইট হাউসের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর মানুষটির শুক্রানু।
এই ঘটনা প্রকাশ্য চলে আসায় আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন সুন্দরী মনিকা।ওই ঘটনার জেরে মনিকাকে চাকরি ছাড়তে হয় হোয়াইট হাউসে চাকরি। সম্প্রতি তিনি আমেরিকার একটি সংবাদপত্রে সেই যৌন কেলেঙ্কারি সম্পর্কে স্বপক্ষে বক্তব্য প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন।
মনিকার বক্তব্য, প্রায় এক দশক আগের সেই ঘটনায় তিনি চুপচাপ ছিলেন, তাঁর সম্পর্কে অনেক গুজবও রটেছে। মনিকার স্বীকারোক্তি, ‘মুখ বন্ধ রাখার জন্য বিল ক্লিনটন তাঁকে প্রচুর অর্থের প্রলোভন দেখিয়েছিল।’
প্রায় দুই দশক আগেকার দুনিয়া কাঁপানো সেই কাহিনীর নায়িকার বয়স ৪০ ছুঁয়েছে। হোয়াইট হাউসের ২২ বছরের ইন্টার্ন আজকাল এমন কিছু করেন না যে শিরোনামে আসবেন। কাহিনীর নায়ক তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবস্থাও তথৈবচ। আর কাহিনীর তৃতীয় চরিত্র- সিনেটর, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো গুরুদায়িত্ব পালনের পর ভবিষ্যতের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে শামিল।
মনিকা লিউনিস্কি, বিল ক্লিনটন এবং হিলারি ক্লিনটন নব্বইয়ের দশকে মিডিয়া-জগতে যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন, সেই কেচ্ছা-কাহিনী ফের নতুন করে গুঞ্জনের রসদ জোগাচ্ছে। ফলে রাজনীতিতে রীতিমতো সক্রিয় হিলারির কতটা অস্বস্তি তৈরি হতে পারে, বিতর্ক দানা বেঁধেছে তা নিয়েও।
সম্প্রতি রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পল হোয়াইট হাউসের সেই তুমুল বিতর্কিত অধ্যায় নিয়ে বার কয়েক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। গত জানুয়ারিতেই সাংবাদিকদের পল বলেন, ‘একজন কম বয়সী ইন্টার্নের সুযোগ নিয়েছিলেন ক্লিনটন; যেটা চূড়ান্ত অমানবিক, জান্তব আচরণের পর্যায়ে পড়ে তা।’
তাঁর অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমও যেন ক্লিনটনের প্রণয়ে এক রকম সায়ই দিয়েছিল। কয়েক দিন আগেই একটি ওয়েবসাইট আবার হিলারির বান্ধবী ডায়ান ডি ব্লেয়ারের কাছ থেকে পাওয়া অনেক তথ্য প্রকাশ করেছে। ডায়ান মারা গেছেন ২০০০ সালে। হিলারির সঙ্গে তাঁর কথপোকথনের অনেক কিছুই তিনি লিখেছিলেন ডায়েরিতে।
তাছাড়াও কিছু ব্যক্তিগত চিঠিপত্র এত দিন রাখা ছিল আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালায়। ক্লিনটন-মনিকার অন্তরঙ্গতা নিয়ে যখন সব মহলে আলোচনা চলছিল, তখন কী হয়েছিল হিলারির মনের অবস্থা? তা জানতে ভীষণই উৎসুক ছিল মিডিয়া। ডায়ানকে নাকি তিনি বলেছিলেন, সাংবাদিকদের সামনে একেবারেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না।
১৯৯৬ সালে ডায়ানকে হিলারি বলেন, ‘আমার কোনো মতামত নেই, এমন ভান করাটাই ভালো হয়। কিন্তু সেটা পারছি না।’ হিলারির কাছে এটা স্পষ্ট ছিল, ক্লিনটন-মনিকার ঘনিষ্ঠতা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতেই বাস্তবে আকার পেয়েছিল। নিজের বান্ধবীকে সে কথা বলেওছিলেন সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি।