লেভান্তের বিপক্ষে ৫-০ গোলে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।
মেসি একাই ছেলেখেলা খেললেন লেভেন্তাকে নিয়ে। নিজে হ্যাটট্রিক করেছেন। সুয়ারেজ ও পিকেকে দিয়ে করিয়েছেন বাকি দুটি গোল। মেসিময় একটা রাত উপভোগ করল বার্সেলোনা সমর্থকেরা।
১৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আগে থেকেই বার্সেলোনা। গোল ব্যবধানের মারপ্যাঁচে ১৬ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় দুই ও তিন নম্বরে থাকা সেভিয়া ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ বার্সেলোনা ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে। আজকের ম্যাচে ভালভার্দের দরকার ছিল পয়েন্ট ব্যবধানটা আরও বাড়ানো। মেসি-সুয়ারেজরা গুরুর চাওয়াটা কী অসাধারণভাবেই না পূরণ করলেন। তালিকার শীর্ষে বার্সেলোনা নিজেদের জায়গাটা আরও পাকা করে নিল গোল ব্যবধানেও। ৫-০ গোলের ব্যবধানে এ জয়ে ১৬ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট ৩৪।
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ…বার্সেলোনা যেন গোল উৎসবে মেতেছে। নির্দিষ্ট করে বললে মেসিকে একাই পেয়ে বসেছিল ক্ষুধায়। এ ক্ষুধা গোলের ক্ষুধা, গোল করানোর ক্ষুধা। প্রথমার্ধে বল দখল আর আক্রমণে দুই দলই ছিল সমানে সমান। মেসি নিজের জাদুর ঝোলা খুলতে একটু দেরিই করেন। সে জন্যেই প্রথম গোলটি পেতে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৩৫তম মিনিট পর্যন্ত। প্রথম গোলটি অবশ্য লেভান্তের রক্ষণের ভুলের সুবাদে পেয়েছে বার্সেলোনা। বল নিয়ে লেভান্তের ডি বক্সে আড়াআড়ি পাস দেন সুয়ারেজকে। অসাধারণ ভলিতে বল জালে জড়ান উরুগুইয়ান এই স্ট্রাইকার।
এর আগেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল লেভান্তে। গোলপোস্টে লেগে এমানুয়েল বোয়েটাংয়ের শট ফিরে আসলে রক্ষা পায় কাতালানেরা।
তবে গোলের গিট খুলতেই লেভান্তেকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। প্রথমার্ধেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন জাদুকর। ৪৩তম মিনিটে একাই বল টেনে আনেন মেসি। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল পায় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে শিষ্যদের কানে কি মন্ত্র পড়ে দিয়েছেন ভালভার্দে সেটা জানা সম্ভব হয়নি। তবে নেমেই স্বাগতিকদের বুকে ছুরি চালিয়ে বসেন মেসি। ৪৭তম মিনিট পাল্টা আক্রমণে সুয়ারেজ-আলবা-মেসির সমন্বিত আক্রমণে গোল পায় বার্সেলোনা। নিজেদের সীমানা থেকে বল নিয়ে এগিয়ে আসা সুয়ারেজ বল বাড়িয়ে দেন আলবাকে। সুবিধাজনক জায়গায় মেসিকে বল বাড়িয়ে দেন আলবা। বার্সেলোনার উৎসবের ক্যানভাসে তুলির আরেকটি আঁচড় দিতে ভুল করেননি পাঁচ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকা।
মেসি হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ম্যাচের ৬০তম মিনিটে। ভিদালের বাড়ানো বল ঠেলে দিয়ে জালে জড়ান মেসি। মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৪টি গোলের মালিকও বনে যান মেসি। ডেম্বেলেকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কাবাকো। দশ জনের লেভান্তে গোল ব্যবধান কমানো বেশ চেষ্টা করে। স্বাগতিকদের গোলবঞ্চিত করেন বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগান। ৮০তম মিনিটে একবার যোগ হওয়া সময়ে ফের নিশ্চিত গোলের হাত থেকে দলকে রক্ষা করেন তিনি। এর আগেই মাঝে-মধ্যে স্ট্রাইকার বনে যাওয়া পিকের গোলে হতাশার চাদরে মুড়িয়ে যায় লেভান্তে। শেষ মুহূর্তে মেসির দুর্দান্ত পাস থেকেই বল জালে জড়ান পিকে।