যেসব লক্ষণে শরীরে বাসা বাঁধে কোলন ক্যানসার

যেসব লক্ষণে শরীরে বাসা বাঁধে কোলন ক্যানসার।

সাধারণত পুরুষ ও কৃষ্ণাঙ্গরা কোলন ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হয়। বয়স ৫০ পেরোলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত গরু বা ছাগলের মাংস খাওয়া,খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের অনুপস্থিতি, ধূমপান ও মদ্যপান এই ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
বৃহদান্ত্রের কোষগুলোর বৃদ্ধি অস্বাভাবিক হারে হলে এই অসুখের ছায়া নেমে আসে শরীরে। অন্ত্রে দীর্ঘস্থায়ী কোনো অংশের বৃদ্ধি এই রোগের অন্যতম লক্ষণ।অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপান, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার ইত্যাদি কারণে কোলন ক্যানসার হয়ে থাকে।
কোলন ক্যানসার কী?
পরিবেশ বা বংশগত প্রভাবের কারণে মলাশয়ের মিউকোসাল এপিথেলিয়ামের টিউমারটি ম্যালিগন্যান্ট টিউমারে পরিণত হলে তখন তাকে কোলন বা মলাশয়ের ক্যানসার বলে। এটি সাধারণত মলাশয় এবং মলদ্বারের সংযোগস্থানে হয়। সম্ভাবনার দিক দিয়ে গ্যাস্ট্রিক, খাদ্যনালি এবং কোলন ক্যানসারের মধ্যে এর স্থান দ্বিতীয়। সাধারণত ৪০-৫০ বছর বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে এই ক্যানসার বেশি দেখা যায়। এছাড়া ৪০ বছরের নিচে কোলন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা ১৫ শতাংশ।
আসুন জেনে নেই যেসব লক্ষণে বুঝবেন বাসা বাঁধছে কোলন ক্যানসার।
কোলন ক্যানসারের লক্ষণ
কোষ্ঠকাঠিন্য
দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা দীর্ঘদিনের ডায়রিয়া এই দুটির যে কোনও একটি হলে সচেতন হোন। এছাড়া ক্যানসারের আক্রমণে তীব্র পেটব্যথা হয়। সঙ্গে হঠাৎ রক্তস্বল্পতা হয়ে থাকে।
আকস্মিক ওজন কমা
আকস্মিক ওজন কমে যেতে থাকলেও সতর্ক হোন। কোলন ক্যানসারে এমন উপসর্গ দেখা দেয়।
মলের সঙ্গে রক্ত
মলের সঙ্গে রক্ত বেরোলে তা অবহেলা করবেন না। যদিও মলের সঙ্গে নানা কারণেই রক্ত বেরোতে পারে, কিন্তু সবরকম সাবধানতা নেওয়ার পরেও রক্ত বেরোনো বন্ধ না হলে আর দেরি করবেন না। এছাড়া অনেক সময় এসব উপসর্গের সঙ্গে বমিভাব যোগ হয়।
চিকিৎসকদের মতে, স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত শরীরচর্চা, মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ, রেড মিট খাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ, ঠিক সময় অন্যান্য ক্রনিক অসুখের চিকিৎসা।
মূলত এসব শারীরিক নিয়মনীতি মেনে চললেই এই অসুখের সম্ভাবনা কমিয়ে আনা যায় অনেকটা।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.