পুলিশ সদস্যদের আরও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক সতর্ক হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যাতে করে কোনও কুচক্রী মহল কোনও ধরনের সুযোগ নিতে না পারে।’
৩০ ডিসেম্বর রাজধানীরসব ধরনের বার বন্ধ থাকবে
সরকারের পক্ষ থেকে ইংরেজী নববর্ষ থার্টিফাস্ট নাইট পালনে নিষেধাজ্ঞা আছে বলে তিনি বলেন, কোনও উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে কোনও সমাবেশ, গান-বাজনা করা ও আতশবাজি করা যাবে না। ৩০ ডিসেম্বর রাত থেকেই নগরীর সব ধরনের বার বন্ধ থাকবে। যেকোনও ধরনের ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ থাকবে।
তবে এ দুটি উৎসব ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপির অপারেশন্স বিভাগ আয়োজিত সমন্বয় সভায় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘বড়দিনের অনুষ্ঠান নিরাপদে সুন্দরভাবে করতে রাষ্ট্র সব ধরনের নিরাপত্তা দেবে। সরকারি নীতি অনুযায়ী সব ধর্মাবলম্বীকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের।’
অনুষ্ঠানস্থলে অপরিচিত ও সন্দেহভাজন কোনও ব্যক্তি দেখলে পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রত্যেক চার্চে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে থাকবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আতশবাজি নিষিদ্ধ থাকবে। চার্চ এলাকায় কোনও ভাসমান দোকান বা হকার থাকতে দেওয়া হবে না। কোন ধরনের ব্যাগ, ট্রলিব্যাগ ও ব্যাগপ্যাক নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।’
থার্টিফার্স্ট নাইট সম্পর্কে কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে ইংরেজি নববর্ষ থার্টিফার্স্ট নাইট পালনে নিষেধাজ্ঞা আছে। কোনও উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে কোনও সমাবেশ, গান-বাজনা করা ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।’
আইডি কার্ড ছাড়া ঢাবিতে প্রবেশ নয়
ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরালো রয়েছে। থার্টিফার্স্ট নাইটে আইডি কার্ড ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাবি’র স্টিকার থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে আগের মতো শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকা ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া আর গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলী ও আমতলী ক্রসিং দিয়ে যেতে হবে। বের হতে যেকোনও পথ ব্যবহার করা যাবে।