বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর

Customsনেপালে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো ও উদ্ধারকাজে বিকল্প বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিভিন্ন দেশের ত্রাণ ফ্লাইট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়ের জন্য ঢাকায় একটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন (সিভিল অ্যাভিয়েশন) কর্তৃপক্ষ জানায়, ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে ত্রাণবাহী দেশি-বিদেশি বিমানকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উড্ডয়ন-অবতরণ, যাত্রীসেবা, জ্বালানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামতে না পারা বিভিন্ন দেশের ত্রাণ ও যাত্রীবাহী বিমানকে ঢাকায় অবতরণ ও তৎপরবর্তী সার্বিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ভূমিকম্পের পরদিন থেকে ১ মে পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের ৫৩টি ত্রাণ ও যাত্রীবাহী ফ্লাইটকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানায়, হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে এ পর্যন্ত কেবল ত্রাণবাহী ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে সাতটি। প্রথম ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি সি-১৩০ উড়োজাহাজে ১০ টন অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী পাঠায় বাংলাদেশ। এরপর বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে ১৮ সদস্যের সামরিক বাহিনীর মেডিকেল দল ও জরুরি উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়। একই সঙ্গে নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবল দলসহ ৪৫ জন নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এ সময়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সাড়ে তিন টন ত্রাণসামগ্রী বহন এবং ৬৫৫ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে। এ ছাড়া কিছুসংখ্যক নেপালি কর্মকর্তাকে বিনা খরচে কাঠমান্ডু পাঠিয়েছে।

হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এম কে জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নেপালে ভূমিকম্পের পর পরই দেশটিতে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো ও উদ্ধারকাজের জন্য দেশি-বিদেশি ফ্লাইটগুলোকে প্রয়োজনীয় সেবা ও সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারের নির্দেশে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

এম কে জাকির হোসেন জানান, কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে স্থান স্বল্পতার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অনেক ত্রাণবাহী বিমান সরাসরি অবতরণ করতে পারছে না। তাদের অনেকক্ষণ আকাশে অপেক্ষা করতে হচ্ছে অথবা জ্বালানি স্বল্পতার কারণে অন্যত্র অবতরণ করতে হচ্ছে। ফলে অনেক ফ্লাইট বিকল্প অবতরণ ও জ্বালানি নেওয়ার জন্য ঢাকা হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরকে বেছে নিচ্ছে। এমন ৩৬টি দেশি-বিদেশি ফ্লাইট এক সপ্তাহে কাঠমান্ডুর পরিবর্তে ঢাকায় অবতরণ করেছে। এ সময় ৩ হাজার ১৬৮ জনযাত্রীকে সহায়তা করা হয়েছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.