ওপেন স্কাইস’ নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব সংশ্লিষ্ট শিল্পের ঐক্যে হুমকি সৃষ্টি করছে বলে সতর্ক করেছেন দুবাই এয়ারপোর্টের প্রধান নির্বাহী পল গ্রিফিথস। একে ন্যায্য প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রেও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। এ খাতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নির্বাহী ও পর্যবেক্ষকরাও চলমান পরিস্থিতিকে হতাশাজনক হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। খবর বিবিসি।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে পল গ্রিফিথস বলেন, ‘আমার মূল আশঙ্কা হচ্ছে, আকাশ সেবার অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থান সরে যেতে পারে। অথচ আমরা এখানে বাণিজ্যিক দিক থেকে সফলতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। কিন্তু এখন সার্বিক প্রতিযোগিতা বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যাচ্ছে।’
গত সেপ্টেম্বরে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের সিইও জেমস হোগান বলেছিলেন, বৈশ্বিক উড়োজাহাজ জোটগুলো কিছু প্রতিদ্বন্দ্বীর কারণে এখন ‘ভঙ্গুর’ মডেলে পরিণত হয়েছে। উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর জোটে ফাটল ধরেছে। কানটাস, এমিরেটস ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের দিকে তাকালে আমরা এমনটাই দেখতে পাই।
অন্যদিকে উড়োজাহাজ শিল্প বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ওএজি প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড়োজাহাজ সংস্থার জোটগুলো এখন ভাগ্যের ওপর চলছে এবং এভাবে তারা বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। যৌথ উদ্যোগ ও অংশীদারি চুক্তিগুলোয় আনুষ্ঠানিকতার হার এখন অনেক কম। ফলে ভবিষ্যতে এ খাতের অবকাঠামো ও পরিচালনা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবে।
প্রতিবেদনটির অন্যতম লেখক জন গ্রান্ট বলেন, ‘যতগুলো থাকা দরকার, বাস্তবে এখন তার চেয়েও বেশি উড়োজাহাজ সংস্থা রয়েছে। তাই আমরা প্রত্যাশা করছি, সামনের দিনগুলোয় এ খাতে বড় ধরনের একীভূতকরণ সম্পন্ন হতে পারে।’
