মোবাইলের হ্যান্ডসেট ও যন্ত্রাংশ (কাঁচামাল) আমদানিতে করের হার যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে মোবাইল আমদানি ও প্রস্তুতকারীদের সংগঠন। একই সঙ্গে নিম্নমানের মোবাইল ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে তারা।
শনিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, এনবিআরের বিভিন্ন বিভাগের সদস্য, বাজেট বাস্তবায়ন কমিটি ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় বাংলাদেশ মোবাইলফোন বিজনেসম্যান অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিতু বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ১২ কোটি হ্যান্ডসেট ব্যবহৃত হলেও সরকারের পক্ষ থেকে এই খাতটি নিয়ে এখনো কোনো সুপরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। নানা কারণে মোবাইলের ব্যবহার বাড়লেও পরিকল্পিত উদ্যোগের অভাবে দেশের এ খাতসংশ্লিষ্ট শিল্প গড়ে উঠছে না। ফলে মোবাইল খাতটি এখনো পুরোপুরি আমদানিনির্ভর শিল্প রয়ে গেছে।
নিজাম উদ্দিন জিতু আরো বলেন, কাঁচামাল আমদানির ওপর শুল্ক বেশি থাকার কারণে এ খাতের ব্যবসায়ীদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই এই খাতের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে তা যৌক্তিক পর্যায়ে আনা দরকার।
নিজাম উদ্দিন জিতু বলেন, অবৈধভাবে বহু মোবাইলফোন বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। আর নিম্নমানের মোবাইল ও যন্ত্রাংশও আমদানি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এতে সরকার শুল্ক হারানোর পাশাপাশি হয়রানির শিকার হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে দেশীয় শিল্পের অগ্রগতি হবে না।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মোবাইলফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মেদ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, দেশের বিকাশমান এই খাতের কাঁচামাল আমদানির ওপর ২১.৭৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা যৌক্তিক নয়। এটাকে কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করা দরকার।
কম্পিউটারশিল্পের সঙ্গে মিল রেখে যৌক্তিক করারোপের দাবি জানিয়ে নিজাম উদ্দিন জিতু জানান, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৯৬ শতাংশ মোবাইলফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। কম্পিউটারের ওপর ৬.৫০ শতাংশ কর নিলেও মোবাইলের ওপর নেওয়া হচ্ছে অনেক বেশি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে বিশেষ বিবেচনা করে মোবাইল পণ্য আমদানির করের এ হার সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।