হ্যাংওভার কাটাতে জানুন কিছু পদ্ধতি

হ্যাংওভার কাটাতে জানুন কিছু পদ্ধতি।

বিদায়ের পালা শুরু হয়ে গেছে ইংরেজি বছরের। আর মাত্র চার দিন। এরপরেই শুরু হবে নতুন বছরকে বরণ করার পালা। বর্ষবিদায়ের মৌসুম মানেই পার্টির হাতছানি। তবে পার্টিতে মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান ও অনিয়ন্ত্রিত ভাজাপোড়া খেলে তার প্রভাব শরীরে পড়তে বাধ্য। চিকিৎসকদের মতে, শরীরকে সুস্থ রাখতে মদ্যপান যেমন পরিমিত হওয়া উচিত, তেমনই পরের দিনের কাজ মাথায় রেখে হ্যাংওভার কাটাতে শেখাও জরুরি।

পার্টির সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচা যায়। হ্যাংওভারের কিন্তু অন্যতম কারণ এই ডিহাইড্রেশন। অ্যালকোহলের মাত্রা অতিরিক্ত হলেই এই ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ফলে হ্যাংওভার কাটতে চায় না সহজে। পার্টির আনন্দ বাড়াতে কখনওই মাত্রা ছাড়াবেন না।

মদ্যপান করলে অবশ্যই খেয়াল রাখুন হ্যাংওভারের বিষয়টিও। পরের দিনের যাবতীয় কাজ পণ্ড করতে না চাইলে ও শরীরকে অকারণে ব্যস্ত করতে না চাইলে মদ্যপানের দিন মেনে চলুন কিছু নিয়মকানুন :

► হ্যাংওভার কাটানোর প্রথম ও প্রাথমিক শর্ত, পরিমিতিবোধ। কোনোভাবেই অতিরিক্ত মদ্যপান নয়। কেবল হ্যাংওভারই নয়, অতিরিক্ত মদ্যপান কিন্তু ওবেসিটি, লিভার ক্যানসারের মতো অসুখেরও কারণ।

►মদ্যপানের দিন সকাল থেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করুন। মদ শরীরের পানি টেনে নেয়। ফলে শরীর শুকিয়ে যায়। পানি খেতে থাকলে শরীরে পানির অভাব পড়বে না, ফলে হ্যাংওভারের সম্ভাবনা কমবে।

►খালিপেটে নয়, বরং ভরা পেটে মদ্যপান করুন। মদ্যপানের সময়ও ভাজাভুজি এড়িয়ে উপযুক্ত অথচ স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন সঙ্গে। এতে অ্যালকোহলের পরিমাণ যেমন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, তেমনই মদ শরীরের পেশী ও স্নায়ুকেও অতিরিক্ত উত্তেজিত করতে পারবে না।

►পার্টি শেষ হওয়ার পর চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত ঘুমের সময় হাতে নিয়ে ঘরে ফিরতে। পর্যাপ্ত ঘুমোলে হ্যাংওভার সহজে কাটে।

► পরের দিন সময়মতো ব্রেকফাস্ট করতেই হবে। পেট খালি থাকলেই আবারও হ্যাংওভারে আক্রান্ত হতে পারেন।

►নিয়ম মানার পরেও কোনো কারণে মাথা ধরা, বমি ভাব হতে থাকলে আদা ভেজানো পানি খান। কয়েকবার এই চিকিৎসা নিলে হ্যাংওভার কেটে যাবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.