মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রফতানিতে ভাটা

indexmiসউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রফতানিতে ভাটারটান অব্যাহত রয়েছে। জনশক্তি রফতানির সর্ববৃহৎ দেশ সউদী আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ইরাক, লিবিয়ায় অলিখিতভাবে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। তবে উল্লেখিত দেশসমূহে হাতেগোনা কিছু কর্মী যাচ্ছে। জর্ডান, লেবানন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের পুরুষ কর্মীর চেয়ে নারী কর্মীই বেশি যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
মুসলিম অধ্যুষিত এসব দেশ সেন্ডিং কান্ট্রিগুলো থেকে নিয়মিত কর্মী আমদানি করছে। এক শ্রেণীর প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মী নানা অপরাধ প্রবণতার সাথে জড়িয়ে পড়ায় কর্মী নিয়োগে অনীহা বাড়ছে। সউদী আরবে কর্মী নিয়োগে স্বাভাবিক গতির সৃষ্টি না হওয়ায় বিদেশ গমনেচ্ছুরা নিরূপায় হয়ে ওমরা যাত্রী সেজে সউদী গিয়ে গা-ঢাকা দিচ্ছে। সউদী আরবে ওমরা করতে গিয়েও অনেকে দেশে ফিরছে না। ফলে সউদী সরকার বাংলাদেশীদের সকল ওমরা যাত্রীদের মোফা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে।
ফলে প্রকৃত ওমরা যাত্রীদের মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। রেমিটেন্স প্রবাহেও নি¤œগতি দেখা দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত মার্চ মাসে প্রবাসী অভিবাসীরা প্রায় ১৩৪ কোটি মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছে। গত এপ্রিল মাসে বিভিন্ন দেশ থেকে রেমিটেন্স এসেছে ১০৪ কোটি মার্কিন ডলার। গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬১ জন কর্মী কর্মসংস্থান লাভ করেছে। ২০১২ সালে ৬ লাখ ৭ হাজার ৭৯৮ জন এবং ২০১৩ সালে ৪ লাখ ৯ হাজার ২৫৩ জন কর্মী বিভিন্ন দেশে চাকরি লাভ করেছে। ২০১৪ সালে জনশক্তি রফতানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৪ জনে। বিএমইটি’র নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। গত এপ্রিল মাসে সউদী আরবে ১ হাজার ৮৪১ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২ হাজার ৬৪৭ জন, কুয়েতে ১ হাজার ৬৮৯ জন, ওমানে ৯ হাজার ৩০৭ জন এবং কাতারে ৯ হাজার ৬১৭ জন কর্মী চাকরি লাভ করেছে। এছাড়া জনশক্তি রফতানির অন্যতম দেশ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারেও কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। মালয়েশিয়ার সারওয়ার্ক অঞ্চলে জিটুজি প্রক্রিয়ায় ১০ হাজার কর্মী নিয়োগের সমঝোতা স্মারকের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ৫ হাজার কর্মীর তালিকা মালয়েশিয়া সরকারের কাছে প্রেরণ করা হলেও তা’ মালয়েশিয়ায় ফাইল চাপা পড়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার চাঙ্গা করতে কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে গতকাল প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হযরত আলী বলেন, এ বিষয়ে বিএমইটির মহাপরিচালক বেগম শামছুন নাহার ও যগ্ম-সচিব মো. নূরুল ইসলাম ভালো বলতে পারবেন। পরে তাদের দু’জনের দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। ওমান ও কাতার বাংলাদেশ থেকে নতুন নিয়ম ২০% কোটা পদ্ধতিতে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করেছে। ফলে এ দেশ দু’টিতে কর্মী যাওয়া কমে গেছে। যৌক্তিক অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার সম্প্রসারণ করতে পারলে জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব। বায়রার সভাপতি মো. আবুল বাশার গতকাল এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বায়রা সভাপতি বলেন, যেসব কারণে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মী নিয়োগ হ্রাস পেয়েছে তা’ দূতাবাসগুলোর পরামর্শ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে শ্রমবাজার সম্প্রসারণে উদ্যোগ নিতে হবে। থাইল্যান্ডে জনশক্তি রফতানির ব্যাপারে এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে শিগগিরই সউদী আরবে মহিলা কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে বায়রা সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে সউদী আরবে নারী কর্মীসহ অন্যান্য খাতে কর্মী নিয়োগের জন্য ঢাকায় উভয় দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ নিয়ে সারাদেশে নিবন্ধনের উদ্যোগ নেয়া হলেও এখনো পর্যন্ত সউদী আরবে নারী কর্মী যাওয়া শুরু হয়নি। জনশক্তি রফতানির সব চেয়ে বড় বাজার সউদী আরবে বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা অর্জন করছে। ২০০৯ সাল থেকে সউদী আরবে অঘোষিতভাবে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে। জনশক্তি রফতানির উল্লেখযোগ্য শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত সেন্ডিং কান্ট্রিগুলো থেকে নিয়মিত কর্মী আমদানি করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে। তারা হাতেগোনা কিছু মহিলা কর্মী নিচ্ছে। কুয়েত সরকার ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। প্রতি মাসেই সউদী আরব, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৪ হাজার প্রবাসী কর্মী খালি হাতে দেশে ফিরছে। হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের বন্ধকৃত শ্রমবাজারগুলো এখনো পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারগুলো পুনরুদ্ধার করতে হলে ঐ অঞ্চলে কূটনৈতিক তৎপরতা ব্যাপকহারে জোরদার করতে হবে। শ্রমবাজার ধরে রাখতে এবং রেমিটেন্সে’র প্রবাহ বাড়াতে হলে দক্ষ জনশক্তি রফতানির বিকল্প নেই। জনশক্তি রফতানিকারক দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। গতকাল সোমবার বায়রার সদস্য ও মুনটেজ ট্রেনিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, বহির্বিশ্বে দক্ষ জনশক্তির বিরাট চাহিদা রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে হবে সকল খাতেই দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য সরকারকে জনশক্তি রফতানি খাতে আরো বৃহৎ আকারে পৃষ্ঠপোষকতার হাত বাড়াতে হবে। তিনি  বলেন, ২০০৫ সাল থেকে ঢাকার অদূরে টঙ্গিতে ১৬ বিঘা জমির উপর আমার ট্রেনিং সেন্টারে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি’র আর্থিক সহায়তায় চারটি ক্যাটাগরিতে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের কারিগরি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। প্রতি বছর প্রায় ২ হাজার বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মী এ ট্রেনিং সেন্টার থেকে বৃত্তি নিয়ে দক্ষতা অর্জন করে দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান লাভ করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রায় ৮৫ লাখ অভিবাসী’র পাঠানো রেমিটেন্সে’র উপরই জাতীয় অর্থনীতি’র ভীত দাঁড়িয়ে রয়েছে।
বর্তমান সরকার গত মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর সউদী আরবে অভিবাসী বাংলাদেশীদের সমস্যা সমাধানে এবং শ্রমবাজার খুলতে উদ্যোগ নেয়। সেখানে অবৈধ হয়ে পড়া প্রায় ৮ লাখ বাংলাদেশী কর্মীকে বৈধ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সউদী আরর সফরে গিয়ে তৎকালীন বাদশাহকে পুনরায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার অনুমতি দিতে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি ইকামা (কাজের অনুমতিপত্র) ও পেশা পরিবর্তেনের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সানে সউদী বাদশা’র মহানুভবতায় মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অবৈধ লাখ লাখ বাংলাদেশী বৈধতা লাভের সুযোগ পেয়েছে। সাধারণ ক্ষমার আওতায় প্রায় ৬ লাখ অবৈধ বাংলাদেশী কর্মী বৈধতা লাভ করেছে।
সউদী শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব সেবা ও সম্পর্ক)Ñ যিয়াদ বিন ইব্রাহিম আল দায়ে’র স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সউদীতে প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের নিয়োগকর্তা ও পেশা’র পরিবর্তন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এতে সউদী আরবে কর্মরত লাখ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের দীর্ঘ দিনে দাবি পূরণ হয়েছে। সউদীর শ্রমবাজারকে আরো ব্যাপক সম্প্রসারণ করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনও ইতিপূর্বে ৬ বার সউদী আরব সফর করে সউদী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছিলেন। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইতিপূর্বে ঘোষণা দিয়েছেন সউদী আরবে কর্মী নিয়োগে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকার বেশি ব্যয় হবে না। যারা ভিসা কেনাবেচা (ভিসা ট্রেডিং) করে তাদের বিরুদ্ধে সউদী সরকার আইন প্রণয়ন করেছে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ বছর জেলসহ আর্থিক জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইনে ভিসা ট্রেডিংকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের বন্ধকৃত শ্রম বাজারগুলো পুনরুদ্ধারে সর্বোচ্চ কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। বহির্বিশ্বের উল্লেখযোগ্য শ্রম বাজারগুলোতে কর্মসংস্থান লাভের আশায় বিএমইটি’র অধীনে সারা দেশ থেকে প্রায় ২২ লাখ কর্মী ২০১৩ সালের শেষের দিকে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। সোর্স কান্ট্রিগুলো বাংলাদেশ থেকে নিবন্ধনকৃত উল্লেখিত ২২ লাখ দক্ষ-অদক্ষ কর্মীর তালিকা থেকে বাছাই করে কর্মী আমদানি করতে পারে।
দীর্ঘ সাত বছর পর সউদী আরবে গৃহকর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে গত ফেব্রুয়ারী মাসে বাংলাদেশ ও সউদী সরকারের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ইফতেখার হায়দার ও সউদী আরবের পক্ষে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের উপমন্ত্রী আহমেদ আল-ফাহাইদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে সউদী সরকার বাংলাদেশী শ্রমিক নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
চুক্তিতে হাউস সার্ভিস ওয়ার্কার হিসেবে ১২টি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। তার মধ্যে শুধু একটা ক্যাটাগরি অর্থাৎ গৃহকর্মীর বেতন নির্ধারণ হয়েছে। যার বেতন ধরা হয়েছে ৮০০ রিয়েল অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ১৬ হাজার টাকা। গৃহকর্মীর থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে সউদী নিয়োগকর্তা। অন্য ১১টি ক্যাটাগরির বেতন এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
এর আগে সউদী আরবে কর্মী নেয়ার প্রক্রিয়া ঠিক করতে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে সফররত সউদী উপমন্ত্রী আহমেদ আল-ফাহাইদের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর পর উভয় দেশের টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গেও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঐ সময়ে ঘোষণা করেছিলেন সউদীতে কর্মী নিয়োগের সমস্ত ব্যয় সউদী নিয়োগকর্তা বহন করবে। শুধু পাসপোর্ট ও আনুষঙ্গিক ব্যয়ের জন্য ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। প্রবাসীমন্ত্রী বলেছেন, বেসরকারি উদ্যোগেই সউদীতে কর্মী যাবে। তবে সরকার শক্ত হাতে মনিটর করবে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) এবং সউদী আরবে জনশক্তি আমদানিকারকদের একমাত্র সংগঠন সউদী ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট কমিটির (সানারকম) মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বায়রা সভাপতি মো. আবুল বাশার ও সানারকম-এর চেয়ারম্যান স্ব-স্ব পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। কর্মীদের ভিসা, যাতায়াত এবং লেভি খরচ সউদী নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বহন করবে। সানারকম চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়েছিনে, পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ থেকে প্রায় দু’লাখ গৃহকর্মী ও ড্রাইভার সউদী আরবে কাজ পাবে। সউদী প্রতিনিধিরা দেন দরবার করে শেষ পর্যন্ত গৃহকর্মীদের বেতন ৮শ’ সউদী রিয়াল দিতে সম্মত হয়েছিলেন। মহিলা কর্মী নিয়োগ প্রসঙ্গে গত মাসে সউদী আরবে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় সফর করে গেলেও এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতির আলামত পাওয়া যায়নি।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.