ঢাকা: ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত নেপালে ৩৫০ টন আমন চাল নিয়ে বাংলাদেশি ১৪টি ট্রাক রওনা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা হিসেবে আরও নয় হাজার ৮০০ মেট্রিক টন চাল এবং আড়াই হাজার লিটার পানিও দিচ্ছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (০৫ মে) বিকেল ৪টার দিকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালের উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রাকগুলো।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক (ত্রাণ) মো. ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টায় পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে যাওয়া ১৪টি ট্রাক বাংলাবান্ধা হয়ে নেপালের কাঁকরভিটা সীমান্তে গিয়ে থামবে।’
‘সেখান নেপালের পক্ষ থেকে এসব চাল সংগ্রহ করা হবে। প্রতিটি ট্রাকের সামনে ব্যানার লাগানো হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
গত ২৫ এপ্রিল প্রবল ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত ১০ হাজার মেট্রিকটন চাল ও আড়াই হাজার লিটার পানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ।
নেপালে প্রথমবারের মতো চাল পাঠানোর আগে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন। এসময় রংপুর বিভাগীয় কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন।
মো. ইফতেখারুল ইসলাম জানান, একদিনে সব চাল পাঠানো সম্ভব নয়, তাই কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কিস্তিতে এই চাল পাঠানো হবে। বুধবার থেকে ট্রাক ও চালের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।
এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, নেপালে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাল ও পানি পাঠানো শুরু হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সোমবার রাতে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর রাতেই অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কার্যক্রম শুরু হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মুশফেকা ইকফাৎ জানান, ত্রাণ সহায়তার অনুলিপি খাদ্য মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানোর পরপরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, স্থলবন্দরের কাছাকাছি হওয়ায় পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার খাদ্য গুদাম থেকে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার নেপালের ভূমিকম্পে দুর্গতদের জন্য দশ হাজার মেট্রিক টন চাল ও পর্যাপ্ত খাবার পানি পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভূমিকম্প হওয়ার পরপরই বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।