বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক আবদুল মজিদ ভূঁইয়া বলেছেন, বেলা ১১টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাসপাতালে পৌঁছান। এরপর তাঁর জন্য ছয় সদস্যের একটি চিকিৎসা দল গঠন করা হয়। ওই দলটি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানিয়েছে, মির্জা ফখরুলকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের চিকিৎসায় গঠিত দলের আছেন নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল আলম, হৃদ্রোগ বিভাগের সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের হাসান মাসুদ, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের এস এম সাদেক, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক আতিকুল আলম ও ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান।
সকাল আটটার দিকে মির্জা ফখরুলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। এ বিষয়ে সেখানকার কারা তত্ত্বাবধায়ক প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, মির্জা ফখরুলের হৃদরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা আছে।
কাশিমপুরের কারা চিকিৎসক মো. আনোয়ার হোসেন সকালে বলেন, মির্জা ফখরুলের ইন্টারনাল করোটিড আর্টারি (মাথায়) ব্লক রয়েছে। এ ছাড়া তিনি পেটের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগে ভুগছেন। তাঁকে ভাস্কুলার সার্জন, নিউরোলজিস্ট, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ও কার্ডিওলজিস্ট দেখানো দরকার। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, প্রায় দুই মাস আগে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। কিন্তু তখন একসঙ্গে সব চিকিৎসককে দেখানো সম্ভব হয়নি। তিনি সেখানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে চান।
গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার পর মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।