সাইকেলও নয় আবার মোটরসাইকেলও নয়, এর মাঝামাঝি দেখতে এই বাহন। তবে এই বাহনকে আপাতত মোটরসাইকেলই বলা হচ্ছে। মূলতঃ এটি একটি ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল।
তবে এর মূল্য ১ ডজন মোটরসাইকেলের মোট মূল্যের চেয়েও বেশি ধরা হয়েছে।অবাক মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কী এমন বিষয় আছে এতে, যে এতো দাম ধরা হয়েছে এই নতুন উদ্ভাবিত মোটরসাইকেলে।
সাইকেলটির উদ্ভাবক জার্মান কোম্পানি নোভাস জানিয়েছে, এই বিশাল দামের পেছনে রয়েছে এতে সংযুক্ত লেটেস্ট প্রযুক্তি।
তাছাড়া এই প্রথম কোনো ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলে কার্বন ফাইবার ফ্রেম ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই কম্পানিটি।
ইতিমধ্যে জার্মান কোম্পানি নোভাস যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের কনসিউমার ইলেকট্রনিক্স শোয়ে এই সাইকেলের প্রদর্শন করেছে। এ সময় সাইকেলটি তৈরির একটি ভিডিও প্রকাশ তারা। ওই প্রদর্শনীতে নোভাসের এক মুখপাত্র জানান, সাইকেলটির সব প্রযুক্তি এর ফাইবার ফ্রেমেই লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এতে সংযুক্ত রয়েছে একটি স্মার্টফোন। ওই স্মার্টফোনই মূলত এর ‘ডিজিটার কি’।
যার মাধ্যমে সাইকেলের সব প্রযুক্তি অপারেট করা যাবে। ফোনের ডিসপ্লে তে দেখা যাবে মোটরসাইকেলের সব তথ্য।
এর গতি কেমন সে প্রশ্নে জানা গেছে, প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯৬.৫ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে এই সাইকেল।
দুর্ঘটনা এড়াতে এর ব্রেকিং সিস্টেমে প্রয়োগ করা হয়েছে ডুয়াল হাইড্রোলিক ফ্লোটিং ক্যালিপার ডিস্ক । যা বর্তমানের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি।
একবার ফুল ব্যাটারি চার্জে প্রায় ১০০ কিলোমিটার রাস্তা চলতে পারবে এই মোটরসাইকেল। এর জন্য এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৪.৪ কিলোওয়াট লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি।
এতো প্রযুক্তি আর উন্নত মানের ব্যাটারি সংযোজনের পরেও নতুন এই ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের ওজন মাত্র ৩৮.৫ কিলোগ্রাম। এর কারণ ওই কার্বন ফাইবার ফ্রেম। সাইকেলটির এতো সব চমকের সঙ্গে আরও যে চমক রয়েছে তাহলো এতে থাকছে সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির সাসপেনশান।
তবে এই সাসপেনশান বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি নোভাস। বিষয়টি এর চালকের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন তারা।
এবার রয়েছে শেষ চমক। কেননা এর মূল্য শুনলে চমকে উঠবেন সবাই। নতুন এই ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলটি পেতে ক্রেতাকে গুনতে হবে ৩৯ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার, টাকায় গিয়ে দাঁড়ায় ৩৩ লাখ টাকার কিছু বেশি!