এভিয়েশন নিউজ: বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সহায়তা চেয়েছে দেশীয় এয়ারলাইন্স ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। বর্তমান প্রেক্ষপটে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সাত ধরনের সহায়তার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত ৩০ এপ্রিল ইউনাইটেড এয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন তসবিরুল ইসলাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ বিষয়ক একটি চিঠি বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।
ইউনাইটেড এয়ারের চাওয়া সহায়তাগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিএসইসির জারি করা ২০১১ সালের ২২ নভেম্বরের নির্দেশনা থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে অব্যাহতির কথা। এতে দেশীয় এয়ারলাইন্সটি টিকে থাকবে ও বিকশিত হবে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া বেবিচের মূল পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রে কিস্তির ব্যবস্থা, বেবিচের সার চার্জ মওকুফ, প্রতিষ্ঠানটির বিকাশের জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা বিষয়ক সকল প্রকার চার্জ আগামী পাঁচ বছরের জন্য মওকুফ, দেশীয় বিমান সংস্থাগুলোকে ক্রয় মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো সম্পর্কে গণমাধ্যমে নেতিবাচক তথ্য প্রকাশ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ না করা। সরকারের পক্ষ থেকে এসব সহায়তা পেলে সকল বকেয়া পরিশোধ করতে সক্ষম হবে ইউনাইটেড এয়ার। একই সঙ্গে লক্ষাধিক সাধারণ বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষা হবে বলেও জানা যায়।
গত ২ ফেব্রুয়ারি ও ৮ এপ্রিল ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের এরোনটিক্যাল ও নন-এরোনটিক্যাল বকেয়া বিল বাবদ ৫৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে না জানিয়ে বিএসইসিকে চিঠি দেয় বেবিচক। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির ফ্লাইট অনুমোদন ও এয়ার অপারেটিং সার্টিফিকেট নবায়ন স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয় বিএসইসিকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি ও বেবিচের কাছে সহায়তা চেয়েছে ইউনাইটেড এয়ার। সহায়তা চেয়ে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ বিমান একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি।
এ বিমান সংস্থার কাছ থেকে বেবিচের বর্তমান পাওনা প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। সংস্থাটি সরকারি দফতর থেকে বহুবিধ সুবিধা পেয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে সার চার্জ মওকুফ ও মূল পাওনা কিস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করলে প্রতিষ্ঠানটি আরও বিকশিত হত। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৬ এপ্রিল বেবিচক সদর দফতরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বকেয়া পাওনা পরিশোধ ও এয়ার অপারেটিং সার্টিফিকেট (এওসি) নবায়ন সম্পর্কিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ১৫ জুনের মধ্যে তিন কিস্তিতে ৫ কোটি টাকা পরিশোধ এবং বাকি টাকা পরিশোধ বিষয়ক পরিকল্পনা এক মাসের মধ্যে দাখিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ জুন পর্যন্ত এওসি নবায়ন করা হয়েছে।