২ কোটি পাসওয়ার্ড এবং ৭৭ কোটি ই-মেইল ফাঁস!
বিশ্বজুড়ে একের পর এক হামলা চালিয়েই যাচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। ফেসবুকের লাখ লাখ পাসওয়ার্ড ফাঁস হওয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নতুন তথ্য সামনে এল! আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস আর খুব গোপন পাসওয়ার্ড হয়তো ইতিমধ্যেই ফাঁস হয়ে গেছে বহু কোটি হ্যাকার, স্প্যামারের কাছে। আপনার অজান্তেই তা চলে গেছে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে। এখন কী করা উচিত? পাসওয়ার্ড পাল্টে ফেলাই মঙ্গলজনক নয় কি?
সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বহু ডেটাবেস থেকে অন্তত ২ কোটি ১০ লক্ষ পাসওয়ার্ড আর ৭৭ কোটি ২৯ লক্ষ ৪ হাজার ৯৯১টি ই-মেইল অ্যাড্রেস ফাঁস হয়ে গেছে। ফলে কম করে হলেও ২৭০ কোটি গোপনীয় রেকর্ড ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে হ্যাকার-স্প্যামারদের হাতে হাতে। ডেটাবেসগুলি ওই সব ই-মেইল অ্যাড্রেস আর পাসওয়ার্ড আবর্জনার মতো ফেলে দিয়েছিল তথ্যপ্রযুক্তির একটি ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ডে’। যার নাম- ‘কালেকশন #ওয়ান’। যদি তা সত্যি-সত্যিই হয়ে থাকে, তাহলে এটা ফেসবুক-কাণ্ডের চেয়েও বড় তথ্য-ফাঁস কেলেঙ্কারি !
ঘটনাটি প্রথম আবিস্কার করেন তথ্য সংক্রান্ত গবেষক ট্রয় হান্টের। তিনি ‘হ্যাভ আই বিন পন্ড’ নামে একটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করেন। এই ওয়েবসাইটে যে কোনো ই-মেইল অ্যাড্রেস আর পাসওয়ার্ড পাঠানো হলে তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলে দেয় যে কোনো সময় কেউ সেই গোপন পাসওয়ার্ড জেনে ফেলে তা দিয়ে সেই ই-মেইল অ্যাড্রেস খুলেছিল কি না। কোথা কোথা থেকে হ্যাকার, স্প্যামাররা গোপন পাসওয়ার্ড দিয়ে সেই ই-মেইল অ্যাড্রেসে ঢুকেছিল; কী পরিমাণ তথ্য তারা চুরি করেছিল -সবকিছু।
ট্রয় হান্ট তার ব্লগে লিখেছেন, ‘২ কোটি ১০ লক্ষ পাসওয়ার্ড আর ৭৭ কোটি ২৯ লক্ষ ৪ হাজার ৯৯১টি ই-মেইল অ্যাড্রেস ফাঁস হয়ে গেছে। তার ফলে কম করে হলেও ২৭০ কোটি গোপনীয় রেকর্ড হ্যাকার, স্প্যামারদের হাতে পৌঁছে গেছে। ‘কালেকশন #ওয়ান’-এর ডেটা স্টোরেজের ক্ষমতা ৮৭ জিবি বা গিগাবাইট। তার মধ্যে রয়েছে ১২ হাজার বিভিন্ন ধরনের ফাইল। সেই সব ডেটা ফাঁস হয়ে গিয়েছিল একটি ক্লাউড-বেসড শেয়ারিং ওয়েবসাইট ‘মেগা’র কাছে। হান্ট জানিয়েছেন, এই ‘মেগা’ আসলে হ্যাকার-স্প্যামারদের একটি সংগঠিত ফোরাম।
সুতরাং, ইন্টারনেট এবং পিসির পাসওয়ার্ড এখনই পরিবর্তন করে নিন।