২০১৯ সালেই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ শুরু করতে চায় সরকার। শেষ হওয়া সমীক্ষা প্রতিবেদন হাতে পেলে এবং প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে তিন মাসের মধ্যেই নকশা তৈরির কাজ শেষ করতে চায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
২০১৯ সালেই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর প্রথম ধাপে পাঁচ বছর ধরে কাজ করা হবে। আর মোট ১০ বছরে ৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সারাদেশের সড়ক, নৌ, রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে এই বিমানবন্দর।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিপ্পন কোই’কে নতুন করে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়ার পর নভেম্বরেই এই আগ্রহ প্রকাশ করে এভি এলাইন্স। এর আগে ২০১৬ সালে নিপ্পনের সঙ্গে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দ্বিতীয় দফার সমাঝোতায় পৌঁছায় সিভিল এভিয়েশন অথরিটি বাংলাদেশ। সে মতে ১৮ মাসে তাদের কাজ শেষ করার কথা।
বিমানবন্দর, বিমান সংস্থা, বৈমানিক ও উড়োজাহাজ নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা ‘সিএপিএ-সেন্টার ফর এভিয়েশন’ এর ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থাকা তিনটি রানওয়ের প্রতিটিরই আয়তন হবে চার হাজার ৪২০ মিটার বা ১২ হাজার ফুট।
সংস্থাটি বলছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে তৈরি হতে যাওয়া বিশ্বের উল্লেখযোগ্য একটি মেগা প্রকল্প। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেই মহাজোট সরকার ভবিষ্যত বাংলাদেশের কথা চিন্তা করে এই বড় আকারের বিমানবন্দর গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলো। তখন সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে দেশের সর্ববৃহৎ বিমানকেন্দ্র হিসেবে উপস্থাপন করেছিল।
তখন থেকে সরকার তিনটি রানওয়ে সুবিধা নির্বাচন করার আগে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রস্তাব বিবেচনা করেছিল। জাপানি প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোই এই ১৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দায়িত্ব পায়। ২০১২ সালের জুনে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। অন্যদিকে ২০১৫ সালে মূল বিমানবন্দরের কাজ শুরু হয়ে তা শেষ হওয়ার কথা ছিলো ২০২৫ সালে। আট হাজার একর জমির ওপর মূল বিমানবন্দরসহ মোট ১০ হাজার একর জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বলে জানানো হয় সেই প্রস্তাবনায়। নিপ্পন কোই এরপরই মুন্সিগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও মাদারীপুরে সম্ভাব্য স্থান খুঁজতে শুরু করে এবং প্রাথমিকভাবে মুন্সিগঞ্জের আড়িয়াল বিলকে এই বিমানবন্দরের জন্য ঠিক করা হয়। তবে স্থানীয়দের আন্দোলনের মুখে এই প্রকল্প স্থগিত করে নতুন স্থান খুঁজতে থাকে সরকার ।