ভোটাধিকার হরণকারী আ’লীগকে মানুষ ক্ষমা করবে না: ফখরুল।
৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির নির্বাচন হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপির পরাজয় হয়নি। পরাজয় হয়েছে সরকারের। পরাজয় হয়েছে আওয়ামী লীগের।
পরাজয় হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার। তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী আওয়ামী লীগকে দেশের মানুষ কখনোই ক্ষমা করবে না। মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পৌরসভা মিলনায়তনে জেলা বিএনপি আয়োজিত নির্বাচনোত্তর এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল। জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর উল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ, মহিলা দলের ফোরাতুন নাহার, শ্রমিক দলের ওবায়দুল হক, যুবদলের মো. জাহিদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নুরুজ্জামান।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা দিবস। সারা দেশে ৯৮ হাজার মিথ্যা মামলায় ২৬ লাখ আসামি, কেউ বাদ পড়েনি।
তাই দেশকে বাঁচাতে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে জেগে উঠতে হবে। দেশের মানুষকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। সংবিধান ও অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশে আর কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
তারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেয় না। যারা ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র লুট করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ঘর ছাড়া করেছে। তাদের ক্ষমা করা যায় না।
তাই এ নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে তিনি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে হটানোর আহ্বান জানান।
দুঃখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের জন্য যে আওয়ামী লীগ ১৯৭১ সালে সামনের কাতারে থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। সেই আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। গণতন্ত্রকেও হত্যা করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে জনগণ নেই। তারা নিজেরা অপরাধ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দিচ্ছে। দেশকে ভয়াবহ অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিদেশি গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, দেশে ভোট ডাকাতি হয়েছে তা সর্বজনস্বীকৃত।