ভারতের রাজ্যসভায় সীমান্ত বিল পাস হওয়ার ঘটনাকে ‘সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য’ অভিহিত করে এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এটি এ সরকারের কুটনৈতিক সাফল্য।”
বুধবার ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় দেশটির সংবিধান সংশোধনের এই বিল পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত হয়।
এ চুক্তির আওতায় ভারত ও বাংলাদেশের ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় হওয়ার কথা।
রাজ্যসভায় পাস হওয়া বিলটি এখন লোকসভায় যাবে। ক্ষমতাসীন বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকসভায় বিলটি পাস হলে দুর্ভোগের অবসান ঘটবে বলে আশায় আছেন ছিটমহলের বাসিন্দারা।
বাংলাদেশি ছিটমহলগুলোতে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার। আর ভারতীয় ছিটমহলগুলোর জনসংখ্যা ৩৭ হাজারের মতো।
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের সহিংসতাকে জঙ্গিবাদী ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইভটিজিং ও এসিড সন্ত্রাস যখন শুরু হয় তখন কঠোর শাস্তি দিয়ে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। ঠিক একইভাবে অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে নইলে এ সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
দশম জাতীয় সংসদ শুরু হওয়ার পর গতবছর ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেন। এটি ছিল তার দ্বিতীয় পরিদর্শন।
প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। আর প্রতিমন্ত্রী হিসাবে রয়েছেন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।