তথ্যচিত্র নিয়ে ক্ষুব্ধ মাইকেল জ্যাকসনের পরিবার।
‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ তথ্যচিত্রের তীব্র সমালোচনা করে পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের পরিবার বলেছে, ‘সারা জীবন এ রকম নোংরা আক্রমণ মোকাবিলা করতে হয়েছে মাইকেল জ্যাকসনকে। এমনকি এখনো করতে হচ্ছে।’ ২৫ জানুয়ারি সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়ে গেল ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ তথ্যচিত্রের। মাইকেল জ্যাকসনের কাছে যৌন হয়রানির শিকার দুই শিশুর তরুণ বয়সের ভাষ্যের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে তথ্যচিত্রটি।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জ্যাকসন পরিবার তথ্যচিত্রের দুই কথককে মিথ্যাবাদী উল্লেখ করে বলেন, ওয়েড রবসন ও জেমস সেফচাক মিথ্যাবাদী। জ্যাকসন জীবিত থাকাকালে তাঁরা বলেছিলেন, তিনি তাঁদের কোনো যৌন হয়রানি করেননি। জ্যাকসনের মৃত্যুর পর আবার তাঁরা এসব দাবি করতে শুরু করেছেন। জ্যাকসনের খ্যাতিকে নোংরাভাবে ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই তথ্যচিত্র ‘কুরুচিপূর্ণ’।
কথিত আছে, মাইকেল জ্যাকসন তাঁর জীবদ্দশায় ৭ ও ১০ বছর বয়সী দুই বালককে যৌন নির্যাতন করেছিলেন। ওই বালকেরা এখন ত্রিশের কোটায়। তাঁদের ভাষ্যের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে ওই তথ্যচিত্র। এ দুজনের একজন ওয়েড রবসন এখন একজন কোরিওগ্রাফার। শিল্পী ব্রিটনি স্পিয়ার্সসহ নামী সব শিল্পী নিয়ে কাজ করেন তিনি।
মাইকেল জ্যাকসনের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার এক কিশোরের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০০৩ সালে পুলিশ তাঁর ক্যালিফোর্নিয়ার খামারবাড়ি ‘নেভারল্যান্ড’-এ তল্লাশি চালিয়েছিল। সেই খামারবাড়ির নামানুসারে তথ্যচিত্রের নামকরণ করা হয়েছে। তবে জ্যাকসনের মৃত্যুর এত দিন পর মীমাংসিত একটি বিষয়কে আবারও সামনে টেনে আনার জন্য তথ্যচিত্রটি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
জ্যাকসনের পরিবারের দাবি, তথ্যচিত্রে ওয়েড রবসন ও জেমস সেফচাককে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যে, জ্যাকসনের ঘনিষ্ঠ অন্য সবাই সেখানে রীতিমতো উপেক্ষিত। জ্যাকসন কখনোই শিশুদের সঙ্গে বাজে আচরণ করতেন না। বরং সব সময় তিনি তাদের আদর করতেন।
‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে পরিচালক রিড, এইচবিও এবং চ্যানেল ফোর। আগামী বছর চার ঘণ্টার এই তথ্যচিত্র দেখানো হবে এইচবিওতে। বিলবোর্ড