খেলাপি বিনিয়োগ আদায়ে ইসলামী ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের তিনটি বিমান নিলামে বিক্রি করবে। অর্থঋণ আদালত আইন-২০০৩ এর ১২ ধারা অনুযায়ী এই নিলাম আয়োজন হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিনিয়োগ ও মুনাফা বাবদ ইউনাইটেড এয়ারের কাছে ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা শাখার মোট পাওনা ১৫৩ কোটি ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩৪ টাকা। এই বিনিয়োগের বিপরীতে বন্ধকে থাকা তিনটি বিমান (মডেল নং- বোয়িং এমডি৮৩; ডিসি-৯-৮৩ ও এটিআর-৭২-২০২) নিলামে বিক্রির জন্য দরপত্রের আহ্বান করেছে ইসলামী ব্যাংক। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টার মধ্যে আগ্রহী ক্রেতাদের দরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে অনুমোদন পাওয়ার পরও বন্ডের টাকা হাতে না পাওয়ায় আটকে আছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেডের পুনর্গঠন পরিকল্পনা। এজন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে বাড়তি সময়ও পেয়েছে।
জানা গেছে, প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিদেশি একদল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর নামে ৪০০ কোটি টাকার নতুন শেয়ার ইস্যু করে তাদের কাছ থেকে ৭টি উড়োজাহাজ ও যন্ত্রাংশ (তিনটি ইঞ্জিন) নেয়ার পরিকল্পনা অনুমোদনের আবেদন করেছিল ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। প্রাপ্তব্য উড়োজাহাজগুলোর ডাউন পেমেন্ট, বর্তমান উড়োজাহাজগুলোর মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও কোম্পানির চলতি মূলধনের চাহিদা মেটাতে ২২৪ কোটি টাকার কুপন বিয়ারিং অবসায়নযোগ্য বন্ড ইস্যুরও অনুমোদন চেয়েছিল তারা। ২০১৬ সালেই বিএসইসি তাদের এ পরিকল্পনা অনুমোদন করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে টিএসি এভিয়েশন লিমিটেড, ফিনিক্স এয়ারক্রাফট লিজিং প্রাইভেট লিমিটেড ও সুইফট এয়ার কার্গো নামের তিনটি কোম্পানির অনুকূলে নতুন শেয়ার ইস্যু করে ইউনাইটেড এয়ার।
বিএসইসিকে লেখা এক চিঠিতে কোম্পানিটি অভিযোগ করে, রেগুলেটরি অনুমোদনের পরও শুধু বন্ডের ম্যান্ডেটেড অ্যারেঞ্জার আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা না পাওয়াতেই বন্ড ইস্যু করে ২২৪ কোটি টাকা উত্তোলন করতে পারেনি তারা।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড। অব্যাহত লোকসানে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে না পারায় ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে আওতাভুক্ত রয়েছে কোম্পানিটি।
কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৮২৮ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা।বুধবার দিনশেষে কোম্পাটির শেয়ার দর ২.৯০ টাকায় স্থিতি পেয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির বাজার মূলধণ ২৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা।