মধু খাওয়ার উপকারিতা

মধু খাওয়ার উপকারিতা।

যাবতীয় রোগ নিরাময়ে ও শরীরের সুস্থতায় মধুর উপকারিতা অনেক। আয়ুর্বেদ এবং ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রেও মধুকে বলা হয় মহৌষধ।

কুরআনে আছে-‘আর মৌমাছির পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানি নির্গত হয়, যা মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার।’ (সূরা নাহল : ৬৯)

হাদিসের আছে-হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, কুরআন হলো যেকোনো আত্মিক রোগের জন্য আর মধু হলো দৈহিক রোগের জন্য। (ইবনে মাজাহ)

প্রাচীনকাল থেকে মানুষ প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে, মিষ্টি হিসেবে, চিকিৎসা ও সৌন্দর্যচর্চাসহ নানাভাবে মধুর ব্যবহার করে আসছে। যেকোনও ওষুধকে বেশি প্রভাবশালী ও কার্যকরী করার জন্য মধুর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অনেক সভ্যতায় মধু ‘ঔষধ’ হিসেবেও ব্যবহৃত হত। মধুর উপকারিতা আরও অনেক যা গুণে শেষ করার কঠিন ।
# ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী। সমপরিমাণ আদারস এবং মধুর মিশ্রণ কাশির সাহায্যে শ্লেষ্মা বের করে ফেলার একটি সহায়ক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এটি ঠান্ডা, কাশি, কণ্ঠনালির ক্ষত, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি থেকে দ্রুত পরিত্রাণ দেয়।

# মধু হল দেহে তাপ ও শক্তির উৎস। মধু দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। শীতের ঠান্ডায় এটি দেহকে গরম রাখে।

# মধু হজমে সহায়তা করে। এতে যে শর্করা থাকে তা সহজেই হজম হয়। মধু পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে এবং হজম দূর করে। অরুচি, বমিভাব, দূর করে।

# মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ১ চা চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।
# রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে।

# ডায়রিয়া হলে এক লিটার পানিতে ৫০ মিলিলিটার মধু মিশিয়ে খেলে দেহে পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।

# রূপচর্চার ক্ষেত্রে মাস্ক হিসেবে মধুর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্যও মধু ব্যবহৃত হয়।

# মধুতে কোনো চর্বি নেই, চিনির বিকল্প হিসেবে সেবনে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না। এক গ্লাস গরম পানির সাথে এক বা দুই চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস পানে পেট পরিষ্কার ও মেদ কমাতেও সাহায্য করে। মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.