স্বস্তি পেলেন সালমান খান। মুম্বাইয়ের দায়রা আদালতের রায়ে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করার আদেশ দেওয়া হলো। আজ শুক্রবার (৮ মে) এক শুনানিতে এ আদেশ দেন মুম্বাই উচ্চ আদালত। অবশ্য জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাকে আগে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তারপর নতুনভাবে ট্রায়াল কোর্টে আবেদন করতে পারবেন ৪৯ বছর বয়সী এই অভিনেতা। ব্যক্তিগত ৩০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন দেওয়া হবে তাকে।
গাড়ি চাপা দিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে পথচারী হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গত ৬ মে সালমানের বিরুদ্ধে সাজার আদেশ দেন বিচারক ডি ডব্লিউ দেশপান্ডে। ওইদিনই দায়রা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জামিনের আবেদন করেন সালমানের আইনজীবী অমিত দেশাই। আবেদনটি ফলপ্রসূ হওয়ায় দুই দিনের জন্য জামিন পেয়েছিলেন বলিউডের এই সুপারস্টার। যদিও জামিন বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিলো। কিন্তু শুনানিতে জামিন বহাল রাখলো মুম্বাই উচ্চ আদালত।
শুক্রবার শুনানিতে আইনজীবী জানান, ১৩ বছর আগে দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন সালমানের বন্ধু কমল খান। কিন্তু মামলা চলাকালীন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি দায়রা আদালত। দুর্ঘটনার সময় গাড়ির গতি ৯০-১০০ কিলোমিটাররে মধ্যে ছিলো বলেও জানান অমিত দেশাই। কামাল খান এখন বিদেশে আছেন। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে মুম্বাই উচ্চ আদালত। তার আগ পর্যন্ত বহাল থাকবে জামিন। আগামী ১১ মে থেকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হবে আদালত পাড়ায়। তাই এক মাস পর ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন মুম্বাই উচ্চ আদালতের বিচারপতি।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সালমানের গাড়ির আঘাতে মারা যান ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা নুরুল্লাহ মেহবুব শরিফ। আহত হন আরও চারজন। তবে সালমান আদালতে জানান, চালকের আসনে তিনি ছিলেন না।