বাবার হাত থেকে মেয়েকে কেড়ে নিল বেপরোয়া মাইক্রোবাস

স্কুলের উদ্দেশে মঙ্গলবার সকালে উত্তরার বাসা থেকে বাবার সঙ্গে বের হয়েছিল ১০ বছর বয়সী ফাইজা তাহমিনা সূচি। দিয়াবাড়ি ১০ নম্বর ব্রিজ এলাকায় রাস্তা বাবার হাত ধরেই পার হচ্ছিল মেয়েটি। এ সময় দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে বাবা থেকে চিরতরে বিচ্ছিন্ন করে দিল তাকে।

মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার বদলে তার লাশ নিয়ে ফিরতে হলো ফাইজুলকে। সড়কে প্রাণ হারানো মানুষের তালিকায় যুক্ত হলো মেয়েটির নাম।

শুধু ফাইজা তাহমিনা সূচিই নন, মঙ্গলবার ভোররাত ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টায় নগরীর তিনটি স্থানে রক্তে রঞ্জিত হয়েছে সড়ক। প্রাণ গেছে, শিশু ফাইজা ছাড়া আরও তিনজনের।

জানা গেছে, ফাইজা তাহমিনা সূচি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। তুরাগ থানার ওসি নূরুল মোত্তাকিন বলেন, সকাল ৮টার দিকে মেয়েকে নিয়ে তার বাবা ফাইজুল ইসলাম উত্তরার দিয়াবাড়ি ব্রিজসংলগ্ন রাস্তা পার হচ্ছিলেন।

এ সময় পেছন থেকে মেয়েটিকে ধাক্কা দেয় মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১৩-৪১৫৭)। এতে গুরুতর আহত হয় মেয়েটি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মেয়েটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির বাবা ফাইজুল ইসলাম দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক। ওসি বলেন, মাইক্রোবাসটি কোনো একটি শুটিং ইউনিটে যাচ্ছিল।

ঘটনার পর চালক ও মাইক্রোবাসের অন্য সবাই পালিয়েছে। স্থানীয়রা মাইক্রোবাসটি আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে। মাইক্রোবাসের রেজিস্টেশন দেখে মালিক ও চালককে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.