অভ্যন্তরীণ রুটে প্লেনের ভাড়া কমানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবেঃ বিমান প্রতিমন্ত্রী।
অভ্যন্তরীণ রুটে বেসরকারি প্লেনের ভাড়া কমানো যায় কি না- সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
রোববার সচিবালয়ে নিজ দফতরে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি) এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
বাংলাদেশের চেয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভ্যন্তরীণ রুটে প্লেনের ভাড়া অনেক কম। আমাদের দেশে প্লেনের ভাড়া কমানোর কোনো উদ্যোগ নেয়া হবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভাড়ার ব্যাপারে বিভিন্ন ফ্যাক্টর কাজ করে। সরকারি বিমানের ভাড়াতো তুলনামূলক কম। বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’
এ বিষয়ে অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ভারত সরকার সেদেশে পর্যটন এবাং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজলভ্য করার জন্য এ খাতে বেশ ভর্তুকি দিয়ে থাকে। তাই সেখানে অভ্যন্তরীণ রুটে ভাড়া কিছুটা কম মনে হলেও ভায়াবিলিটি গ্যাফ হিসেবে সরকার ভর্তুকি দিয়ে প্লেন মালিকদের পুষিয়ে দেয়।
বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানের উন্নয়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী ১০০টি ইকোনোমিক জোন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশকিছু বাস্তবায়নও হয়েছে। এজন্য দেশি-বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারী আসছেন। হলি আর্টিসানের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী খুব ভালোভাবে হ্যান্ডেল করেছেন। এজন্য দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে এবং আস্থা এবং বিশ্বাসের জায়গায় আমরা ফিরে এসেছি। তাই এখন অনেক বিদেশি বাংলাদেশে আসছেন। এজন্য এ সেক্টরকে আমাদের আরও উন্নয়ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ খাতে অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু আজকে বেশি আলোচনা হয়নি। জাস্ট পরিচিত হওয়ার সাথে সাথে কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীতে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধেনের উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী অত্যান্ত আন্তরিক। তিনি চান এ সেক্টরটা আরও উন্নতি করুক।’