সৌদি সরকারের বেঁধে দেওয়া কোটার বাইরে হজে যেতে ইচ্ছুক নিবন্ধিত অতিরিক্ত ২৫ হাজার যাত্রীকে নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এজেন্সিগুলো। গতকাল দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত হজ এজেন্সিগুলোর আহ্বায়ক মাওলানা ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি দেয়। এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত হজ এজেন্সির মালিকরা বেলা ১১টার আগেই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ইহরামের কাপড় পরে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে রওনা দেন তারা। হাইকোর্ট মোড়ে কদম ফোয়ারার সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সেখান থেকে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিতে যায়। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন মুফতি আবদুল কাদের মোল্লা, মুফতি নাসির উদ্দিন, শফিক উদ্দিন ও মাওলানা জাকারিয়া। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, ২৫ হাজার হজযাত্রী নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে, এ জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তাই দায়ী। নিয়ম অনুযায়ী মুয়ালি্লম ফি জমা দেওয়ার পর নাম রেজিস্ট্রেশন করার কথা থাকলেও মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে এর ব্যত্যয় ঘটায় চলমান সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
এসব হজযাত্রী এবং তাদের স্বজনরা হজে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ডাটা এন্ট্রি করা হজযাত্রীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, বিভিন্ন জেলায় এন্ট্রি করা অনেককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে প্রমাণ হয় বিপুল সংখ্যক ভুয়া লোক নাম রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
সৌদি সরকার এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জনকে হজ করার সুযোগ দেবে। এর বাইরে আরও কমপক্ষে ২৫ হাজার হজ গমনেচ্ছু রেজিস্ট্রেশন করেও যেতে পারবেন কি-না, তা নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে।
আরও খবর