‘নিখোঁজ’ বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারতের পাসতোর হিলসে মেঘালয় ইস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সাইন্স (মিমহাস) হাসপাতালে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে গুলশান-২-এর ৭৭ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাসার সামনে হাসিনা আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন।
হাসিনা আহমেদ বলেন, “সকালে ভারতের মেঘালয় প্রদেশের পাসতোর হিলসে অবস্থিত মেঘালয় ইস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সাইন্স (মিমহাস) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে ফোন করে বলেন- আপনার স্বামী আপনার সঙ্গে কথা বলবেন।”
তিনি বলেন, “এরপর ফোনের অন্যপ্রান্ত থেকে বলা হয়- আমি সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলছি। আমি একটি মানসিক হাসপাতালে আছি। সুস্থ আছি, জীবিত আছি। তুমি সবাইকে এ খবরটা জানিয়ে দাও। সবাই যেন আমার জন্য দোয়া করেন। আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলছি- আমি আমার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছি। ১০০ বছর পরে কথা হলেও আমার স্বামীর কণ্ঠ চিনতে কোনো অসুবিধা হবে না।”
স্বামীকে আনতে সরকারের সহযোগিতা চান কিনা এমন প্রশ্নে সাবেক এই এমপি বলেন, “অবশ্যই সরকারের সহযোগিতা চাই। দেশের সবার সহযোগিতা চাই। আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।”
তিনি বলেন, “আমরা খুব দ্রুত চেষ্টা করছি তার (সালাহ উদ্দিন) কাছে পৌঁছতে। এজন্য ভিসা লাগবে, সরকার যে এ বিষয়ে আমাকে সাহায্য করে।”
হাসিনা আহমেদ বলেন, “আমি এই খবর জানার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসায় যাই। তিনি তার (সালাহ উদ্দিন) সন্ধান পাওয়ার খবর জানার পর শুকরিয়া আদায় করেছেন। দেশেবাসীর কাছে চেয়েছেন।”
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ রাতে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উত্তরার একটি বাসা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় বলে তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ দাবি করেন। বিএনপির পক্ষ থেকেও একই দাবি জানানো হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।