চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩৮ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. হোসেন (৩৯) ও মো. রুবেল (৩৬) নামে দ‘ুজন ট্রাফিক হেলফারকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের ধারনা এই ঘটনার সঙ্গে বিমানের প্রকৌশল শাখার বহুল আলোচিত এয়ারক্রাফট ম্যাকানিক ও সোনা চোরাকারবারি গডফাদার সাত্তারের যোগসাজস থাকতে পারে। একই সঙ্গে তার ৫ সহযোগি সুইপার হারাধন, ক্লিনার সরোয়ার, কায়নাত ও ড্রাইভার পলাশের যোগসাজসও থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারনা। চট্টগ্রাম শুল্ক গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ঘটনার সময় সাত্তারসহ এদের সবাই বিমানবন্দরে ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন। তবে ক্লিনার সরোয়ার সকালে ডিউটিতে এসেও রহস্যজনক কারণে দ্রুত বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
পরবর্তীতে বিকালের ডিউটি নেয়। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরো জানান, বিমান মানেজমেন্ট সাত্তারকে কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বদলি করেছিল। কিন্তু সাত্তার বিমান মন্ত্রীসহ গোপালগঞ্জের এক প্রভাবশালীর মাধ্যমে তার বদলি আদেশ ২ মসের জন্য স্থগিত করান।
গোয়েন্দাদের ধারনা সাত্তার হয়ত ৩৮ কেজির এই চালান খালাস করার জন্য মোটা অংকের টাকা খরচ করে বদলির আদেশ ২ মাস স্থগিত করিয়েছেন। গোয়েন্দারা এই ঘটনার সঙ্গে সাত্তারের বদলি জনিত কারণটির সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখবেন বলে জানাগেছে। একই সঙ্গে তার ৫ সহযোগিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। গোয়েন্দারা তাদের গতিবিধি নজরে রাখছেন বলেও জানান।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সেলিম রেজা জানান, দুবাই থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০৪৮ ফ্লাইটটি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় বিমানবন্দরে আসে। সকাল পৌনে ৮টার দিকে স্বর্ণ উদ্ধার ও দুইজনকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, ৩২৫টি স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়। যার মোট ওজন ৩৭ কেজি ৯০০ গ্রাম। এর মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিমানের টয়লেট থেকে ২৬০টি এবং দুই যাত্রীর কাছ থেকে ৬৫টি স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘মো. হোসেনকে ৩৭টি স্বর্ণবার ও মো. রুবেলকে ২৮টি স্বর্ণবারসহ আটক করা হয়। তাদের বহন করা লাগেজ তল্লাশি চালিয়ে এ সব স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়।’
সেলিম রেজা আরও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে বাকি স্বর্ণগুলোও তাদের মাধ্যমেই এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
উল্লেখ্য এর আগে গত সপ্তাহে রুট পাল্টে সোনা পাচার, স্বর্গরাজ্য শাহ আমানত বিমানবন্দর শীর্ষক একটি রিপোর্ট এভিয়েশন নিউজে প্রকাশিত হয়।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বদলী হয়েছে সোনা পাচারের রুট। চোরাচালানীরা শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ঢাকার চেয়ে নিরাপদ ভাবছে। ফলে তারা নতুন পথ দিয়ে সোনা পাচার করছে। এখানেও দু’একটি চালান ধরা পড়ছে। কিন্ত বেরিয়ে যাচ্ছে অনেক বেশী সোনা। এখন দিয়ে প্রতিমাসে ৫শ কোটি টাকার সোনা পাচার হচ্ছে । নিরাপদে সোনা পাচারের সঙ্গে বিমান এবং সিভিল এভিয়েশনের অসাধু কর্মচারীদের একটি চক্র জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছ।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, ঢাকার শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হওয়ায় এই অবৈধ ব্যবসার গডফাদাররা তাদের নিরাপদ রুট হিসেবে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে বেছে নিয়েছে। এর আগে পর পর দুই দফায় দুটি বড় সোনার চালান আটক করা হয় চট্টগ্রাম বিমান বন্দর থেকে। সোনা পাচারে সহায়তা দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে একটি চক্র গড়ে উঠেছে। এই চক্রটি নিয়ন্ত্রন করছে প্রকৌশল শাখার এয়ারক্রাফট মেকানিক সাত্তার। তার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের দুর্ধর্ষ কেরিয়ার দিয়ে চালছে সোনা পাচার। সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা হল প্রকৌশল শাখার সুইপার হারাধন, এয়ার ক্র্যাফট ক্লিনার গোলাম সরোয়ার, যানবাহন শাখার ক্যাজুয়াল কর্মচারী সরোয়ার কায়নাত মুকুল, এমটি ড্রাইভার পলাশ কান্তি দে অন্যতম। অভিযোগ ওঠেছে এরা সোনাপাচার কাজে বিমানের স্পর্শকাতর এলাকায়ও মোটর সাইকেল ও গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করছে। সেখান থেকে সোনার চালান নিয়ে নির্বিঘেœ বেরিয়ে আসছে। বিমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
চক্রটির সদস্যদের রক্ষায় মরিয়া খোদ সরকারেরই এক প্রভাবশালী নীতিনির্ধারক। সাত্তার ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার জন্য ওই নীতিনির্ধারক বিমান ম্যানেজমেন্টকে লিখিতভাবে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে। ফলে গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক রিপোর্ট এবং বিমানের অভ্যন্তরিন তদন্তে এদের বিরুদ্ধে সোনা পাচারের অভিযোগ প্রমানিত হলেও তাদের চাকরীচ্যুত করা সম্ভব হয়নি।
জানাগেছে, মুল গডফাদার সাত্তারকে চট্টগ্রাম থেকে সিলেট স্টেশনে বদলি করলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এরপর সে আদেশ বাতিল করে সাত্তারকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বদিল করা হয়। তাতেও বাধা দেন ওই নীতিনির্ধারক। কিন্তু চট্টগ্রামে সোনা পাচার বেড়ে যাওয়ার বিমান ম্যানেজমেন্ট মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করে তাকে শাহজালাল বিমানবন্দরে বদলির আদেশ বহাল রাখেন। এতে ক্ষিপ্ত হন একই ব্যক্তি। এরপর তিনি সাত্তারের বদলি আদেশ ২ মাসের জন্য স্থগিত করতে লিখিতভাবে বিমানকে নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ফ্লাইট নামার পর গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজে বিমানের প্রকৌশল শাখা ও পরিচ্ছন্নতা শাখার দুর্নীতিবাজ কর্মীরা পেশাগত কাজে ওই উড়োজাহাজে ঢোকেন। এরপর কাজের ফাঁকে তারা উড়োজাহাজ থেকে সোনার চালান সংগ্রহ করে নিরাপত্তা শাখার যোগসাজশে ৪, ৮ ও ৯ নম্বর গেট দিয়ে বের হয়ে আসেন।
সেখানে যানবাহন শাখার নির্দিষ্ট কর্মচারীর মাধ্যমে চালান ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে। ছোট-বড় প্রতিটি চালানের জন্য নিরাপত্তা ইনচার্জকে ২ লাখ টাকা দিতে হয়। এছাড়া যানবাহন শাখার ডেলিভারি ইনচার্জকে দিতে হয় ট্রিপ প্রতি ১ লাখ টাকা। আর ফ্লাইটের বিভিন্ন স্থান কেটে ও টয়লেটের নাট-বল্টু খুলে সোনার চালান বের করে আনছে বিমানের প্রকৌশল শাখার অসাধু কর্মচারীরা। এ জন্য প্রতি চালানে তারা পাচ্ছেন ১ লাখ থেকে গড়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। জানা গেছে, প্রতিটি চালান খালাসের পর অধিকাংশ সময় নিরাপত্তা শাখার ইনচার্জ সাত্তারের-পি ৩৫৮৭৭ কক্ষে এই টাকার ভাগবাটোয়ারা হয়।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে চাঞ্চল্যকর সোনার চালান আটকের দুটি ঘটনার বাস্তব অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। চট্টগ্রাম পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এক চালানে ৪৯ কেজি সোনা আটক করে শুল্ক ও গোয়েন্দা শাখা।
এ ঘটনার সঙ্গে ৪ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী (ক্লিনার) সরোয়ার, জীবন, সুখলালের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওইদিন দুবাইয়ের একটি ফ্লাইট থেকে প্রকৌশল শাখার কর্মীদের সহায়তায় এই চার ক্লিনার ৪৯ কেজি সোনা তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেঁধে নেয়। কিন্তু একটি চালান ক্লিনার হারাধনের শরীরে বাঁধার সময় ওই ফ্লাইটের দায়িত্বরত গার্ড মাসুদ হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলে। এরপর শুল্ক ও গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় বাকি তিনজনকে তল্লাশি করে চারজনের শরীর থেকে ৪৯ কেজি সোনার বার আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন সাত্তারের ডিউটি ছিল না । এরপরও তিনি রহস্যজনক কারণে ফ্লাইটের নিচে অবস্থান করছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি গোপনে সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে আটক চার পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে ছাড়িয়ে নেন আর সোনাকে পরিত্যক্ত ঘোষণার ব্যবস্থা করেন।
পুলিশ জানায়, গত বছর ২০ মার্চ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে ৩০ পিস সোনা সংগ্রহ করে নিচে নেমে আসে পরিচ্ছন্নতা কর্মী সুখলাল ও জীবন। কিন্তু তাদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় সিভিল এভিয়েশনের সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা কর্মকর্তা দু’জনের শরীর তল্লাশি করেন।
এ সময় সুখলালের কাছ থেকে ৩০ পিস সোনার বার উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তি মতে জীবনকেও আটক করা হয়। এরপর চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আটককৃতদের মোবাইল কললিস্ট যাচাই করে দেখা যায় সুখলালের ফোন থেকে সাত্তারের ফোনে এবং হারাধনের মোবাইলের সঙ্গে সোনা পাচার সংক্রান্ত যোগাযোগের অসংখ্য রেকর্ড রয়েছে। জীবনের মোবাইল ফোন থেকেও যানবাহন শাখার ডেলিভারিম্যান মুকুল এবং সহ-মেকানিকের মোবাইলে অসংখ্যবার যোগাযোগ ও সোনা পাচার সংক্রান্ত বিপুল পরিমাণের ক্ষুদে বার্তার (এসএমএস) রেকর্ড পাওয়া যায়। পরবর্তীতে পুলিশ রিমান্ডেও আটককৃতরা সোনা পাচারের সঙ্গে সাত্তার, হারাধন এবং মুকুলের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
চক্রের সদস্য কারা : সোনা চোরাচালান চক্রের স্বক্রিয় সদস্যরা হলেন বিমানের প্রকৌশল এবং নিরাপত্তা শাখার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী । এসব শাখার লোকজনই ল্যান্ড করার পর উড়োজাহাজের ভেতর প্রবেশ করতে পারে। সংশ্লিষ্ট শাখার অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিমানের টয়লেট, গালি, এমনকি ইঞ্জিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বক্স কেটে সোনা চোরাচালান করছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে এই শাখার মধ্যে সাত্তার, হারাধন, নির্মল,সরোয়ার, সাহাদাত, গোবিন্দ, বিক্রম, নজরুল, মরন, রবিন, রিয়াজুল কবির অন্যতম। সম্প্রতি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৬০ কেজি সোনাসহ আটক প্রকৌশল শাখার গ্রেফতারকৃত কর্মচারী মোবাইলের কললিস্টেও এদের মোবাইল নম্বর পেয়েছে পুলিশ। বর্তমানে তারা গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে।
এছাড়া নিরাপত্তা শাখার ফজলুল হক, মহিম, যানবাহন শাখার সরোয়ার কায়নাত মুকুল, পলাশ কান্তি দে’ বর্তমানে গোয়েন্দা নজরদারিতে আছে। ইতিমধ্যে তাদের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট থেকে পুলিশ চোরাচালানের বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্যও পেয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, যানবাহন সুপারভাইজার আরিফ, বিমান কেন্টিনের বয় সেলিম, সোলেমানের মোবাইল নম্বরগুলো থেকেও চোরাচালান সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান হয়েছে। পুলিশ এসব তথ্য খতিয়ে দেখছে।
কে এই সাত্তার : ১৯৯৪ সালে সাত্তার ক্লিনার হিসেবে বিমানের প্রকৌশল শাখায় যোগদান করে। মাস্টার্স পাশ করেও তিনি নিজকে এসএসসি পাশ দেখিয়ে ওই চাকরী নেন। যোগদানের পর পরই সাত্তার ডিউটির পাশাপাশি চোরাচালানের বিভিন্ন রূট, পদ্ধতি, পরিকল্পনাকারী হিসাবে চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে দুর্ধর্ষ হয়ে ওঠেন।
তার গ্রামের বাড়ী নরসিংদি জেলার মনোহরদী থানার হাতির দিয়া গ্রামে। বর্তমানে তার গ্রামের বাড়িতে প্রায় বিশ হাজার স্কয়ারফিটের পাঁচতলা বাড়ী নির্মানাধীন। একদুরীয়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিস সংলগ্ন ও হাতির দিয়া কলেজের গেটের পাশে প্রায় পনের হাজার স্কায়ারফিটের ইউপেটার্ন মার্কেটের নির্মানকাজও চলছে।
এছাড়া তার নামে বেনামে ও শশুর বাড়ীর আত্মীয় স্বজনের নামে বহু জমি/ফ্ল্যাট রয়েছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে জিএসই মোড়ে ওয়েল পার্ক হোটেলের একটি ফ্ল্যাট কিনেন সাত্তার। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে ওই ফ্ল্যাটের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭৫ লাখ টাকা। তার স্ত্রীর নামে পুজিঁ বাজারে প্রায় ২/৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ আছে।
চোরাচালান রোধে চট্টগ্রাম বিমান বন্দরের ১৩ নং গেট দিয়ে সিভিল এভিয়েশন বিমান ও অন্যান্য সংস্থার গাড়ী চলাচল বন্ধ রাখে।এই গেটের সামনে পুলিশী তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে। কিন্ত সাত্তার কোনো কিছুই তোয়াক্কা করছে না। সেই ওই গেট দিয়ে মোটর সাইকেলে আসা যাওয়া করে। চোরাচালানের সাথে সংশ্লিতার অভিযোগে সে একবার চাকরী থেকে সাময়ীক বহিস্কার হয়েছিলেন। চট্টগ্রাম স্টেশনের বিমানের নিরাপত্তা ইনচার্জ ফজলুল হককে টেলিফোনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল সাত্তার।ওই অভিযোগ তদন্ত করে তাকে চট্টগ্রাম থেকে অন্যত্র বদলীর সুপারীশ করলেও মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে এই আদেশ বাতিল করান। চট্টগ্রামে তার সহকর্মী তৌহিদুল আলমকেও মোবাইলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় সাত্তার। এই ঘটনায় তৌহিদ পতেঙ্গা থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন।
সোনা পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ও বদলি আদেশ বাতিল নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তদবির প্রসঙ্গে সাত্তার বলেন, সোনা পাচারের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগও ভিত্তিহীন। এতসব সম্পদও তার নয়। যা কিছু আছে সব তার পারিবারিক সম্পত্তি। তার মোবাইল ফোনে সোনা পাচারকারীদের ফোন নম্বর ও এসএমএস সম্পর্কে তিনি বলেন, ওরা সবাই তার সহকর্মী। বদলি নিয়ে তদবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। এসবের কিছুই তিনি জানেন না।