সেন্ট মার্টিনের কাছে ট্রলার থেকে ১১৬ যাত্রী উদ্ধার

imagessentকক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান একটি ট্রলার থেকে ১১৬ যাত্রীকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা অবৈধভাবে থাইল্যান্ড যাচ্ছিলেন।
কোস্টগার্ড জানায়, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে থাইল্যান্ডের মালিকানাধীন এই ট্রলারটি আটক করে ওই ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হয়। ট্রলারে কোনো মাঝিমাল্লা ছিলেন না। উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা বাংলাদেশের নাগরিক।
কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার কাজী ফরিদুজ্জামান বলেন, গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে স্থানীয় কয়েকটি মাছ ধরা নৌকার জেলে ট্রলারটিকে ভাসতে দেখে তাঁদের খবর দেন। পরে সেন্ট মার্টিন থেকে সাত-আট নটিক্যাল মাইল পূর্ব-দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার-সংলগ্ন মৌলভীরশীল নামক স্থান থেকে ট্রলারটি আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় ১১৬ জন যাত্রীকে। তাঁদের কেউ কেউ অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থ ব্যক্তিদের সেন্ট মার্টিন নৌঘাটে অবস্থানরত নৌবাহিনীর জাহাজে চিকিৎসা এবং অন্য যাত্রীদের খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।
কোস্টগার্ডের ধারণা, ট্রলারটির যাত্রীরা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। ট্রলারে আরও যাত্রী ছিলেন। সম্প্রতি থাইল্যান্ড সীমান্তে কড়াকড়ি ও অভিযানের কারণে তাঁরা সেখানে না ভিড়ে কয়েক দিন ধরে মিয়ানমার-সংলগ্ন এলাকায় ভাসমান অবস্থায় ছিলেন। কোস্টগার্ডের অভিযানের খবরে ট্রলারের মাঝিমাল্লা ও মিয়ানমারের যাত্রীরা বিকল্প পন্থায় পালিয়ে গেছেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাংলাদেশিদের কোস্টগার্ডের একটি দল সেন্ট মার্টিন নৌঘাটে নিয়ে আসে। তাঁরা কোস্টগার্ডের হেফাজতে রয়েছেন।
কাজী ফরিদুজ্জামান জানান, রাতেই তাঁদের সেন্ট মার্টিন থেকে ট্রলারযোগে টেকনাফে নিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। যাত্রীদের হস্তান্তর করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত নৌবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশ বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলে অভিযান চালিয়ে ১৫৩ জন যাত্রী ও ১৩ মানব পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.