ঢাকা: মালয়েশিয়ার পেনাং দ্বীপের উপকূলে পাঁচ শতাধিক অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকার অবস্থান শনাক্ত করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। তবে, নৌকাটি এখনও আটক করা যায়নি বিধায় এর অভিবাসীদের পরিচয়ও তৎক্ষণাৎ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে বুধবার (১৩ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই অভিবাসীরা মায়ানমারের অধিকারবঞ্চিত রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুর লোকজন হতে পারে। তবে, এতে কিছু বাংলাদেশিও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত রোববার (১০ মে) ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূলে ম্যানতাং পুনতংগামী দু’টি নৌকা থেকে ৬০০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে স্থানীয় কোস্টগার্ড ও পুলিশ।
এরপর সোমবার (১১ মে) মালয়েশিয়ার লংকাবি দ্বীপের সমুদ্র সৈকতের কাছ থেকে তিনটি বড় নৌকা থেকে এক হাজার ১৮ অভিবাসীকে উদ্ধার করে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী। উদ্ধার ওই অভিবাসীদের মধ্যে ৫৫৫ জনই বাংলাদেশি ছিলেন।
একই দিন আবারও ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূল থেকে বাংলাদেশিসহ প্রায় ৪০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করে স্থানীয় কোস্টকার্ড ও পুলিশ। তবে, এদের মঙ্গলবার (১২ মে) সাগরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ৪০০ মিলিয়ে প্রায় আট হাজারের মতো বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসী বর্তমানে সাগরে ভাসছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র তথ্য মতে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মানবপাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে, অথবা লাশ হয়েছে।
সম্প্রতি মানবপাচারকারীদের হাতে জিম্মি হয়ে বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের প্রাণ হারানোর ঘটনায় পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় তোলপাড় চলছে। বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জনসাধারণের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এই দালালদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে এরই মধ্যে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ। কিন্তু প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপের মধ্যেই ইন্দোনেশিয়া উপকূলে দফায় দফায় অভিবাসী উদ্ধারের খবর আসছে।