নিজেও ছিলেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা। জাতিরাষ্ট্রের যুগ বাস্তবতায় শত্রু সীমা থেকে নিজেদের সীমায় ধেয়ে আসা আকাশযান প্রতিহত করার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনিও। পাকিস্তানে আটক ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের বাবা অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল সিমহাকুটি বর্তমান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আউটলুক ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ছেলের ভূমিকায় তিনি গর্বিত।
.মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করে। পরদিন বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও এক পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান। পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘উত্তেজনা নিরসনে ভূমিকা রাখলে আমরা ভারতীয় পাইলটকে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত’। এরপর পাকিস্তান ঘোষণা দেয় যে শান্তির নিদর্শন হিসেবে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মুক্ত হওয়ার কথা।
অভিনন্দনের বাবা ভারতীয় বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল সিমহাকুটি বর্তমান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কোনও নিপীড়নের শিকার না হয়েই যেন তার ছেলে দেশে ফিরে আসতে পারে, সে জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেছেন তিনি। সিমহাকুটি বলেন, ‘ধন্যবাদ আমার বন্ধুরা। আমি ইশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ যে অভি বেঁচে আছে। সুস্থ আছে। দেখুন সে কতটা দারুণ কথা বলেছে, সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা তাকে নিয়ে গর্বিত।’ ভারতীয় জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আপনাদের সকলের শুভকামনা তার সাথে আছে। আমি এই দুঃসময়ে আপনাদের পাশে পেয়ে কৃতজ্ঞ।’
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ভারতের ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের’ গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় বাহিনীটির অন্তত ৪০ জন সদস্য প্রাণ হারান। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে। মঙ্গলবার সেই জইশ-ই মোহাম্মদের ঘাঁটি ধ্বংসের কথা বলেই ৭১-পরবর্তী ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের আকাশসীমায় ঢুকে বিমান হামলা চালায় ভারত।