শাহজালাল বিমানবন্দরের উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যান

Airpoutঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, দ্বিতীয় রানওয়েসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের খসড়া মাস্টার প্ল্যান উপস্থাপন করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ মে) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে (চামেলী) এ সংক্রান্ত এক বৈঠকে প্ল্যানটি উত্থাপন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ সংশ্লিষ্ট সচিব এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, সভায় প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও দ্বিতীয় রানওয়ের বাস্তবায়ন দ্রুত সময়ে করার নির্দেশ দিয়েছেন।

‘একই সঙ্গে বলেছেন, বর্তমান বিশ্ব কানেক্টিভিটির যুগে। আর বাংলাদেশ যেহেতু পশ্চিম ও পূর্বের সেতুবন্ধন, তাই আমাদের বিমানবন্দরগুলোকে বড় ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক বিমানবন্দরে রূপান্তর করতে হবে,’ যোগ করেন শামীম চৌধুরী।

বৈঠকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, দ্বিতীয় রানওয়ে এবং অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রণীত খসড়া মাস্টার প্ল্যানটি উপস্থাপন করা হয়।

‘কোরিয়ার ইউশিন, সিঙ্গাপুরের সিপিজি ও বাংলাদেশের ডিডিসি এর সমন্বয়ে যৌথভাবে গঠিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এই মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করেছে।

নতুন মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী, বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজ দুই ধাপে সম্পন্ন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে তৃতীয় টার্মিনাল ভবন, কার্গো ভিলেজ, ভিভিআইপি কমপ্লেক্স, অভ্যন্তরীণ টার্মিনালসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়।

প্রথম পর্যায়ের কাজ ২০১৫ সালে শুরু হয়ে ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা। এ কাজে ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকার সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে।

আর দ্বিতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় রানওয়েসহ অন্যান্য ফ্যাসিলিটিজ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয় নতুন প্ল্যানে। এতে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে বর্তমানে একটি রানওয়ে, ২৯টি প্লেন পার্কিং বে সমৃদ্ধ এপ্রোন, আর্ন্তজাতিক টার্মিনাল, কার্গো ভিলেজ, বোডিং ব্রিজ, কন্ট্রোল টাওয়ারসহ অন্যান্য সহায়তাকারী অবকাঠামো রয়েছে।

বিমানবন্দরের বাৎসরিক যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি ৮ মিলিয়ন। বর্তমানে বছরে ৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন যাত্রী বিমানবন্দরটি ব্যবহার করছে, যা প্রতি বছর ৯ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে।

সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বিমানবন্দরটির যাত্রী ৮ মিলিয়ন অতিক্রম করবে এবং ২০১৯ সালে বাড়তি যাত্রীর জন্য নতুন টার্মিনাল ভবনের প্রয়োজন হবে।

অন্যদিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের বাৎসরিক কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ২ লাখ টন হলেও প্রতি বছর ২ দশমিক ৩৭ লাখ কার্গো হ্যান্ডেল করতে হয়, যা ক্ষমতার চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি।

এই বাড়তি কার্গো ও যাত্রী হ্যান্ডলিং চাহিদা পূরণে ২০১৪ সালের ১ জুলাই মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের জন্য আর্ন্তজাতিক দরপত্রের মাধ্যমে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.