স্পেসএক্সের নভোচারী পাঠানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন।
প্রথমবারের মতো মহাকাশে সফলভাবে ক্রু ড্রাগন ক্যাপসিউল পাঠিয়েছে স্পেসএক্স। ভবিষ্যতে নাসা নভোচারীরা এতে নিরাপদে যাত্রা করতে পারবেন- পরীক্ষার সাফল্য এমনটাই প্রমাণ করছে। শনিবার সকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে শুরু হয় ‘ডেমো-১’ নামের মিশনটি।
স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের সাহায্যে মহাকাশে পাঠানো হয় ক্রু ড্রাগন ক্যাপসিউলটি। রকেট উৎক্ষেপণের পরপরই নাসার পক্ষ থেকে এক টুইটে বলা হয়, ‘লিফটঅফ! মার্কিন মানবদের মহাকাশ যাত্রা ব্যবস্থার নতুন একটি অধ্যায় প্যাড ছাড়াল।’ ভবিষ্যতে এ ক্যাপসিউলে করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে মার্কিন নভোচারী আনা-নেয়ার কাজ করবে স্পেসএক্স।
পরীক্ষার সময় ক্যাপসিউলটিতে কোনো মানুষ না থাকলেও রিপলি নামে একটি ডামি পাঠানো হয়েছে এতে। ১৯৭৯ সালে ‘এলিয়েন’ সিনেমার মূল চরিত্রের নামেই নামকরণ করা হইয়েছে রিপলির। ডামির গায়ে জুড়ে দেয়া হয়েছে অনেক সেন্সর। আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যাত্রা কেমন হবে সে বিষয়ে স্পেসএক্স প্রকৌশলীদের ধারণা দেবে এ সেন্সরগুলো। নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের আওতায় দুটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের প্রথমটি ছিল ডেমো-১। চলতি মাসের জুলাই মাসে ডেমো-২ মিশন পরিচালনার কথা রয়েছে স্পেসএক্সের।
২০১১ সালের পর মার্কিন ভূমি থেকে মহাকাশে নভোচারী পাঠানো প্রথম প্রতিষ্ঠান হবে স্পেসএক্স। নাসার প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টাইন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আজকের সফল উৎক্ষেপণ মার্কিন শ্রেষ্ঠত্বের আরেকটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, মার্কিন ভূমি থেকে মার্কিন রকেটে করে আবারও মহাকাশে উড়বে মার্কিন নভোচারীরা।’
৩ মার্চ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছানোর কথা ক্রু ড্রাগন ক্যাপসিউলটির। এতে মহাকাশ কেন্দ্রের জন্য ৪০০ পাউন্ড সরবরাহও পাঠানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।