ঢাকা: জাপানের সবচেয়ে বড় তথ্য-প্রযুক্তি মেলা ‘জাপান আইটি উইক’-এ প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের বিখ্যাত সব আইটি কোম্পানি অংশ নেয় বলে এই মেলা বরাবরই বিশ্বের জমকালো আইটি মেলার অন্যতম হিসেবে বিবেচিত।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ মেলায় অংশ নিয়েছে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের।
বুধবার (১৩ মে) থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত। জাপানের রাজধানী টোকিওর বিগ সাইটে অনুষ্ঠিত হওয়া এ মেলার উদ্বোধনী দিনে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের স্টল উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশীদ, জেট্রোর সুজুকি, বিজেআইটির সাটো ও তরু ওকাজাকি।
স্টল উদ্বোধনের পর প্রতিমন্ত্রী এক সেমিনারে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রণোদনা উল্লেখ করার মাধ্যমে জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে অধিক হারে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
এসময় তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানা কর্মকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরেন।
জাপানের আইটি সপ্তাহে এরপর থেকে প্রতিবছরই অংশগ্রহণের জন্য প্রতিমন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, জাপান প্রযুক্তি বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়া একটি দেশ এবং জাপান বরাবরই বাংলাদেশের বন্ধু। তাই আগামী বছর থেকে বাংলাদেশ নিয়মিত জাপানের আইটি সপ্তাহে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জাপানি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য সম্ভব সবকিছুই করবে।
সেমিনারে জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি আইটি উদ্যোক্তারাও অংশ নেন।
জাপানের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাপানের স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে হাই-টেক পার্কে জাপানের বিনিয়োগ আহ্বান করেন।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা আইন ও বিধিমালার খসড়া প্রণয়ন এবং বাংলাদেশে একটি সাইবার ফরেনসিক ল্যাব স্থাপনে জাপানের বিশেষ সহযোগিতা কামনা করলে জাপানের প্রতিমন্ত্রী সহায়তার আশ্বাস দেন।
এ সময় জাপানের প্রতিমন্ত্রী অবহিত করেন, জাপান সরকার বিদেশে ২০ বিলিয়ন ইয়েন বিনেয়োগের পরিকল্পনা করছে। এর একটি বড় অংশ বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য তিনি কাজ করবেন।