বিমানবন্দরে মশা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী, দর্শনার্থীসহ অন্যদের মশার উৎপাত থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে মশার আক্রমণ দমনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

আদালত মন্তব্যে বলেছেন, এ রকম একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যদি মশার উৎপাত থাকে, তবে বহির্বিশ্বে আমাদের জাতীয় ভাবমূর্তিই খারাপ হবে।

একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব, বেসরকারি বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিমানবন্দর সংলগ্ন ওয়ার্ড কমিশনারকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

তানভির আহমেদ বলেন, বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বছরে ৫০ লাখ যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। যার মধ্যে ৪০ লাখই বিদেশি। ফলে এ রকম একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যদি মশার উৎপাত থাকে, তবে বহির্বিশ্বে আমাদের জাতীয় ভাবমূর্তিই খারাপ হবে- আদালতও এই মন্তব্য করেছেন।

এই আইনজীবী বলেন, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া জ্বর মশার কামড়েই হয়। এসব জ্বরে বহু মানুষ ভোগেছেন বা এখনও ভুগছেন। এনকি ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া জ্বরে প্রাণহানিও ঘটেছে। কিন্তু আমাদের সংবিধান নাগরিকের জান, মাল রক্ষার বিধান দিয়েছে। ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য রক্ষা করাই রাষ্ট্রের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব। ফলে রিট আবেদনে মশার উৎপাত থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসহ রুল চাওয়া হলেও আদালত শুধু রুল জারি করেছেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘শাহজালাল বিমানবন্দর: মশার পরান বধিবে কে?’ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘ছেঁকে ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

মশার উৎপাত নিয়ে প্রতিবেদন ছাপার হওয়ার পর প্রতিকার চেয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টদের উকিল নোটিশ দেন আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো জবাব না পেয়ে এবং মশা নিধনের কোনো উদ্যোগ না দেখে পরে ৩ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। সেই রিট আবেদনটির শুনানি নিয়েই আদালতে এ রুল জারি করেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.