ঢাকা উত্তরের জন্য পাঁচ শ’ কোটি টাকা বরাদ্দের সুপারিশ

1অফিস ভবন নির্মাণসহ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আসন্ন বাজেটে পাঁচ শ’ কোটি টাকার তহবিল চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক।

সচিবালয়ে রবিবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাতকালে মেয়র এ বরাদ্দের সুপারিশ করেন।

সাক্ষাতশেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এসেছি। তার কাছে আগেও সব সময় এসেছি। যখন যেখানে ছিলাম, তিনিই ছিলেন আমার অভিভাবক।’

মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমিতো ৬ মে থেকেই অফিস করছি। তবে কাউন্সিলররা যোগদান করেছেন ১৪ মে থেকে। সে হিসেবে অফিশিয়ালি অফিস শুরু করেছি দুই দিন হল।’

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা পাচ্ছেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল বলেন, ‘হ্যাঁ, সবাই কাজ করতে চায়।’

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ‘আমাদের তো আসলে এখন কোনো অফিস নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসারও কোনো জায়গা নেই। একটি ফ্লোরে কোনো রকমভাবে আছি। সে জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে অফিসের জন্য জায়গা ও ভবন নির্মাণের সহযোগিতা চেয়েছি। এ ছাড়া কিছু অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে নবনির্বাচিত মেয়রের এ কথোপকথনের সময় কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন মেয়রের জন্য একটি অফিস ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হবে।’ এ কথা বলেই অর্থমন্ত্রী স্থান ত্যাগ করেন।

অর্থমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ‘কত টাকা চাওয়া হয়েছে’— জানতে চাইলে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান আনিসুল হক।

তবে বরাদ্দ চাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, পাঁচ শ’ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।

বিগত সময়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে যে সব অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না— সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি তো আসলে এ ধরনের কোনো এজেন্ডা নিয়ে আসিনি। যারা দুর্নীতি করে তারা তো সংশ্লিষ্ট ফাইলপত্র সব সরিয়ে ফেলে। আমি জানি না, দুর্নীতি নিয়ে কোনো ফরমাল অভিযোগ আছে কি না। কোনো অভিযোগ না পেলে তো কিছু করা সম্ভব নয়। তবে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.