বলিউড অভিনেত্রী শিখা জোশি আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গেল ১৬ই মে সন্ধ্যায় নিজ বাসায় গলায় ধারালো ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন ‘বিএ পাস’ খ্যাত এ অভিনেত্রী।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন শিখা। যদিও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়নি কোনও সুইসাইড নোট।
দিল্লির বাসিন্দা হলেও গত আট বছর ধরে মুম্বাইয়ে রয়েছেন মডেল তথা অভিনেত্রী শিখা। তিন মাস আগে তিনি তাঁর বন্ধু মধুর ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেন।
মধু পুলিশকে জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটে একাই ছিল শিখা। তিনি ফ্ল্যাটে এসে শিখাকে দরজা খুলে দিতে বলেন। শিখা উত্তরও দেন। কিন্তু বহুক্ষণ হয়ে গেলেও দরজা না খোলায়, মধু নিজের চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢোকেন।
এরপরই তিনি বাথরুমে গিয়ে দেখতে পান অচৈতন্য অবস্থায় বাথরুমে পড়ে রয়েছেন শিখা। রক্তে ভেসে যাচ্ছে তাঁর দেহ। গলায় রয়েছে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন। এরপরই শিখার স্বামীকে খবর দেন মধু। শিখাকে কোকিলাবেন আম্বানি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিতসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তাঁরা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে, এই রিপোর্ট দায়ের করেছে। অভিনেত্রীর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যাই করেছেন ওই অভিনেত্রী।
শিখার বড় ভাই এই প্রসঙ্গে নতুন একটি তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই এলাকারই এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগে শিখা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
কয়েকবছর আগে শিখা ওই চিকিৎসকের কাছে স্তন সংক্রান্ত অস্ত্রোপচারের জন্য গিয়েছিলেন। তখনই তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন ওই চিকিতসক। কিছুদিন ধরে বান্দ্রা কোর্টে এই মামলাটির শুনানি চলছিল।
কিন্তু এই মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য শিখার ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন বড় ভাই।
তিনি আরো বলেন, “মৃত্যুর এক ঘন্টা আগেও তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে শিখার। কিন্তু কোনওরকম অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়েনি তাঁর গলায়। এর ঘন্টাখানেক বাদেই মধু তাঁর মাকে ফোন করে জানায় আত্মহত্যা করেছে শিখা।”
উল্লেখ্য ‘বিএ পাস’ ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শিখা।