ভূমধ্যসাগরে পাচারকারীদের নৌকা ধ্বংসে সম্মতি দিতে যাচ্ছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা। এর মাধ্যমে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত এসব অভিযানে আর্থিক পৃষ্ঠপোষক হবে ইইউ।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইইউ সদর দপ্তরে মন্ত্রীরা এসব অভিযানের নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণের কাঠামো এবং প্রধান কার্যালয় নিয়েও আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া বিপুলসংখ্যক অভিবাসী অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর। তাই এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে ইইউ।
চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই ভূমধ্যসাগরে ১৮ শতাধিক অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে, যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় প্রায় ২০ গুণ।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী- প্রায় ৬০ হাজার মানুষ চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেছে।
মূলত সিরিয়া, ইরিত্রিয়া, নাইজেরিয়া এবং সোমালিয়ার মতো মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দরিদ্র দেশগুলোর মানুষই উন্নত জীবনের আশায় বিপজ্জনকভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করে।