আকাশ পথে ৩০টি জেলাকে সংযোগ করেছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ

united-airwaysএভিয়েশন নিউজ: ১৯৭১ সাল পরবর্তী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স একটি সরকারি বিমান সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর প্রায় ২৪ বছর পর ১৯৯৫ সালে এদেশে প্রথম যাত্রীবাহী বেসরকারি বিমান সংস্থা চালু হয়। পরবর্তী ১৫-১৬ বছরে বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী বেসরকারি বিমান সংস্থার আত্মপ্রকাশ ঘটে। কিন্তু ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, নভো ও রিজেন্ট ছাড়া বাকি সবগুলোই একে একে বন্ধ হয়ে গেছে।

এ সময়ের মধ্যে শুধু বাংলাদেশেই নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই বিমান সংস্থাগুলোর অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়ে। জানা গেছে, বিমান ব্যবসার এই অবস্থার জন্য শুধু অদক্ষ ব্যবস্থাপনা দায়ী তা নয়। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক রুট পরিচালনাকারী বাংলাদেশের বিমান সংস্থাসমুহকে যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হতে হয় তা হলো অসম প্রতিযোগিতা, তেলের দামের পার্থক্য, বিমানের যন্ত্রাংশ আমদানি ও রক্ষণাবেক্ষণ সামগ্রী আনয়ন সমস্যা, বিমান বন্দরের উচ্চতর চার্জ ইত্যাদি।

যার ফলে বাংলাদেশে একাধিক এয়ারলাইন্স চালু হওয়ার পর অনেক চেষ্টা করেও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বিমান ব্যবসায় প্রচুর মূলধন প্রয়োজন, কিন্তু বিবিধ কারণে বাংলাদেশের ব্যাংক বা অন্য আর্থিক সংস্থাগুলো বিমান ব্যবসায় অর্থায়ন করতে উৎসাহ বোধ করে না। এতসব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ’ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড’ তার কার্যক্রম সফলতার সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ১০ জুলাই ২০০৭ থেকে একটি ৩৭ আসনের ড্যাশ-৮ ১০০ সিরিজের এয়ারক্র্যাফট দিয়ে ঢাকা-সিলেট উদ্বোধনী ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে ঢাকা থেকে সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও ঈশ্বরদীতে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সেক্টরে ঢাকা থেকে কলকাতা, কাঠমান্ডু, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, দুবাই, মাস্কাট ও জেদ্দা পরিচালিত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর কোন বাংলাদেশী এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে সরাসরি মদিনা ফ্লাইটও শুরু করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড। এছাড়া ইউনাইটেড ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রায় ৩০টি জেলাকে আকাশ পথে সংযোগ স্থাপন করেছে। বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকারের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। নানা প্রতিকূলতা, সংগ্রাম ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মাত্র সাড়ে ছয় বছরের মধ্যে এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম এয়ারলাইন্সে পরিণত হয়েছে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ একমাত্র এয়ারলাইন্স, অলাভজনক হওয়া সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ সকল বিমানবন্দরে যাত্রী পরিবহন করছে।

বর্তমানে অত্র কোম্পানির বহরে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের ১১টি এয়ারক্র্যাফট রয়েছে। বাংলাদেশের পুঁজি বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত এভিয়েশন খাতের একমাত্র পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। যেখানে লাখ লাখ শেয়ার হোল্ডার বিনিয়োগ করেছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.