ঢাকা : বিভিন্ন দফতর ও প্রতিষ্ঠান থেকে ‘ঠিকাদারী কাজ ও বরাদ্দ‘ বাগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তার জাল স্বাক্ষর একটি চক্র ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চক্রটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্যাডে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় প্রতারক চক্র বিভিন্ন সরকারি বরাদ্দ বাগিয়ে নিয়েছ। এ বিষয়ে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই প্রতারকদের ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্যাডে কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরিত কোনো ধরনের বরাদ্দের অনুমোদন দেয়া কিংবা দেয়ার সুপারিশ সম্বলিত চিঠি পেলেই তা জরুরি ভিত্তিতে যাচাই ও সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) ড. দেওয়ান মুহম্মদ হুমায়ন কবীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ওই চিঠিটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর সকল কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে এ কার্যালয়ের প্যাডে পত্র পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছ।
জানা গেছে, এই চিঠির ধারাবাহিকতায় ১১ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রশাসন ও কল্যাণ শাখার সহকারী সচিব শেখ সিদ্দিকুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের বরাদ্দ দেয়ার সুপারিশ সম্বলিত পত্র প্রাপ্তির পর স্মারকটি যাচাই করা বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ করা হল।