অভিবাসীদের আশ্রয় দেবে ফিলিপাইন

phiসাগরে ভাসমান বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের আশ্রয় দিবে ফিলিপাইন।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

যখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিক তখনই তাদের বাঁচাতে প্রথমবারের মতো দেশটি এগিয়ে এসেছে।

ফিলিপাইন পুশব্যাকের মাধ্যমে নৌকায় ভাসা অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠাবে বলে অভিযোগ করা হয়। ম্যানিলার তরফ থেকে এমন পরিকল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে দারিদ্র্যের কষাঘাতে পিষ্ট হয়ে প্রায় ৮ হাজার অভিবাসী সাগরে অভিযাত্রা করেছে। ইন্দোনেশিয়াসহ পার্শ¦বর্তী দেশগুলোতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা এখনো সেখানে ভাসছে। তারা এসব অভিবাসীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উপকূলে সাগরে কয়েক হাজার অভিবাসী মানবেতর জীবন-যাপন করছে ও থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া এই অভিবাসীদের বহনকারী নৌকাগুলো তীরে ভিড়তে দিচ্ছে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে কোনো অভিবাসীকে আশ্রয় দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া।

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনোর মুখপাত্র হারমিনিয়ো কলোমা বলেছেন, এসব অভিবাসীদের ম্যানিলা সরকার মানবিক সহায়তা দেবে। আমরা অভিবাসীদের জীবন বাঁচাতে জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাব।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনের এমন ঘোষণায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অন্তত ৩ হাজার অভিবাসী আবারো আশায় বুক বাঁধছে। তারা এখন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড উপকূলে সাগরে অপেক্ষা করছে।

বিবিসি সোমবার এক প্রতিবেদনে জানায়, ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের জেলেরা জানিয়েছে, সরকারি কর্মকর্তারা তাদেরকে তীরে আসা নৌকা থেকে অভিবাসীদের উদ্ধার করতে বারণ করেছেন। এমনকি তারা যদি ডুবে মারাও যায় তাও তাদেরকে উদ্ধার না করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার জেলেরা আচেহ উপকূল থেকে কমপক্ষে ৭০০ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তাদের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.