জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির নারাজি খারিজ করে রুবেলকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইবুনাল।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে হ্যাপি বলেন, “আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল। এখন বুঝতে পারছি আইন দুর্বলের জন্য নয়।”
হ্যাপি আরো বলেন, “আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। সুষ্ঠু বিচারের আশায় অচিরেই হাইকোর্টে আপিল করব।”
এর আগে, বুধবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে হ্যাপির এই নারাজি আবেদনের শুনানি শেষ হয়।
আসামি রুবেলের পক্ষে শুনানি করেন, ঢাকা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। এবং হ্যাপির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মনসুর রিপন ও অ্যাডভোকেট তুহিন হাওলাদার।
এর আগে, হ্যাপির পক্ষে নারাজি দাখিল করেছিলেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট তুহিন হাওলাদার।
গত ১৯ মার্চ রুবেলের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক হালিমা খাতুন।
২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর নাজনীন আক্তার হ্যাপি মিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেন, ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল হ্যাপির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
২০১৫ সালের ২৯ মার্চ ঢাকা মোট্রোপলিটন পুলিশের উইমেন সাপোর্ট এ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক হালিমা খাতুন আসামি রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতের মিরপুরের জিআর শাখায় মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দানের চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি দাখিল করেন।
২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল হক চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি স্বাক্ষর করে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) বরাবর পাঠান।
২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ মামলাটি বদলি করেন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, নাজনীন আক্তার হ্যাপি প্রাপ্তবয়স্ক, মিডিয়াতে কাজ করা একজন সচেতন আধুনিক ব্যক্তি।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া তিনি যদি রুবেলের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে থাকেন তাহলে সেটা তার সম্মতিসহ হয়ে থাকতে পারে। ধর্ষণের সংজ্ঞানুযায়ী বিবাহের প্রলোভন দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে তার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তদন্তে রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই এ মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতিদানের প্রার্থনা জানালাম বলে উল্লেখ করেন।