সাভারের ধসে পড়া রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
নির্ধারিত সময়ে সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় বুধবার দুপুরে দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন।
এর আগে গত সোমবার রানার বিরুদ্ধে ‘নন-সাবমিশন’ মামলার অনুমোদন দিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান।
গত ২ এপ্রিল দুদক কাশিমপুর কারাগারে আটক সোহেল রানার কাছে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ পাঠায়।
আইন অনুযায়ী, নোটিশ পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে আইনজীবীর মাধ্যমে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দিতে হয়। অবশ্য এ সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে ব্যর্থ হলে আরো সাত কার্যদিবস সময় বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ আইনে রয়েছে।
নির্মাণ ত্রুটির কারণে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজায় ভয়াবহ ধসের ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ২৯ এপ্রিল বেনাপোল থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ভবন ধসের পরদিনই সোহেল রানার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের ঘোষণা দিয়ে ২৮ এপ্রিল দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে কমিশন। ওই বছরের ১৫ মে অনুসন্ধান দল সোহেল রানার সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ জারির সুপারিশ করে। কিন্তু সোহেল রানা কারাগারে থাকায় আইনি জটিলতায় সেটা সম্ভব না হওয়ায় প্রায় দুই বছর পর এই বছরের ২ এপ্রিল কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ জারি করা হয়।
অন্যদিকে, নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগে রানার বাবা, মা ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৫ জুন মামলা করেছিল দুদক। ওই মামলায় রানাকে আসামি করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ভবন ধস ও এক হাজার ১৭৫ জন পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর পেছনে রানার প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।