বেনাপোল চেকপোষ্টে চলছে চাঁদাবাজি আর ঘুষ বাণিজ্য

vvfযশোর : বেনাপোল চেকপোষ্টে পাল্লা দিয়ে চলছে ঘুষ বাণিজ্য এবং চাঁদা আদায়। ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের ইচ্ছামত চালিয়ে যাচ্ছে এ বানিজ্য।

সূত্র জানায়, বেনাপোল চেকপোষ্টে মানবপাচার হুন্ডির টাকা পাচার, স্বর্ণ পাচার, পাসপোর্ট দালালির জন্য গড়ে উঠেছে প্রায় ৩ শতাধিক নামে বেনামে এন্টারপ্রাইজ, ট্রেডার্স, ষ্টোর নামে দোকান।

এসব দোকানের লোকদের দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে পাচার করে নারী-শিশু সহ নানান ধরনের পণ্য সহ হুন্ডির টাকা।

বিশেষ সূত্র জানায়, এ সুযোগে বেনাপোল চেকপোষ্ট ওসি আসলামের নের্তৃত্বে চলছে এখানে চাঁদা আদায় বানিজ্য। সম্প্রতি ওসির নেতৃত্বে এখানকার একটি প্রভাবশালী লোকের মাধ্যমে প্রতি দোকান থেকে তুলছে ২০০০ (দুই হাজার ) করে টাকা। এসব টাকা উপরিমহলকে ম্যানেজ করে সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে মানব পাচারের মত জঘন্য কার্যকলাপ। আর সঙ্গে চলছে স্বর্ণ ও হুন্ডি পাচার।

অপরদিকে বেনাপোলের এই আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট দিয়ে যে সব পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করে তাদের উপর চলে মানসিক নির্যাতন এবং কাষ্টমস ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের ঘুষ বানিজ্য। ইমিগ্রেশন পুলিশ প্রতি পাসপোর্ট যাত্রীদের নিকট থেকে ভারত গমনের সময ১০০ টাকা এবং ফেরার পথে যার নিকট থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছামত টাকা আদায় করে থাকে। ইমিগ্রেশন পার হয়ে কাষ্টমসে গেলে চলে যাত্রীদের উপর আরো অমানুষিক নির্যাতন।

কাষ্টমস ইন্সপেক্টর এবং সিপাইরা বাঘের মত হামলে পড়ে যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশির কাজে। আর নানান প্রশ্ন এটা আনলেন কেন ওটা আনলেন কেন। নানা প্রশ্ন তুলে চলে অর্থ বানিজ্য্ । যাত্রী প্রতি ৫০০ থেকে শুরু করে ৫-১০ হাজার পর্যান্ত চলে বানিজ্য।

ঢাকার যাত্রী আলমগীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমি ভারত থেকে আমার পরিবারের জন্য সামন্য কিছু কেনা কাটা করে এনেছি তাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ নিয়েছে ৩০০ টাকা আর কাষ্টমস জোর করে মাল সিজার করার ভয় দেখিয়ে নিয়েছে ৭০০ টাকা। আলমগীরের মত একাধিক যাত্রী বেনাপোল চেকপোষ্টে কাষ্টমস এবং ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের নামে এসব অভিযোগ তোলেন।

যারা কাষ্টমস কর্তাদের সঙ্গে আগে থেকে চুক্তি করে আসে তাদের ল্যাগেজ চেক হয়না। আর তারা মাদক সহ আনে ভারত থেকে নানা ধরনের পণ্য। সম্প্রতি ভারত থেকে আসা বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে আসা ৯ কেজি ৯শ গ্রাম রৌপ্য আটক করে বিজিব্ ি। এ রৌপ্য কাষ্টটমস ইমিগ্রেশন হয়ে আসার পর আমড়াখারি বিজিবি চেকপোষ্টে আটক হয়।

এ ব্যাপারে বেনাপোল ওসি আসলাম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন্। অপরদিকে কাষ্টমস ইন্সপেক্টর হাসানুজ্জামান বলেন যাত্রীদের অভিযোগ তিনি খতিয়ে দেখবেন। যদি কাষ্টমস সিপাই এবং ইন্সপেক্টররা এধরনের আচারন করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.