মালয়েশিয়ায় এ মাসেই শুরু হচ্ছে এমআরপি কার্যক্রম

Malaysia-Towerএভিয়েশন নিউজ: মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) প্রদান কার্যক্রম আগামী ২৯ মে চালুর নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তথ্যবিনিময়-সংক্রান্ত সমন্বয় না থাকায় নির্ধারিত সময়ে এ কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। তাই সমস্যা উদ্ঘাটন ও সমাধানে কমিটি করে রিপোর্ট প্রদান ও দ্রুত সময়ে প্রবাসীদের হাতে এমআরপি তুলে দিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে বিদেশভ্রমণের ক্ষেত্রে হাতে লেখা পাসপোর্ট গ্রহণ করা হবে না।

অথচ ৮৫ লাখেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে ইতোমধ্যে এমআরপি পেয়েছেন মাত্র ১৪ লাখ প্রবাসী। জানা যায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রবাসীদের এমআরপি প্রদানে আউটসোর্সিংয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত ৬ লাখ প্রবাসীকে এমআরপি প্রদানে চলতি বছর ১২ ফেব্রুয়ারি দেশীয় প্রতিষ্ঠান ডাটাএজ-আইপিপলের সঙ্গে চুক্তি করে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। কিন্তু ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও তারা কাজ শুরু করতে পারেনি।

কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এর আগের দফায় দেশের ৩৪টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের এমআরপির কাজ পাওয়া আইরিশ করপোরেশনের আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে ডাটাএজের সফটঅয়্যার কানেকটিভিটি না হওয়ায় মালয়েশিয়া থেকে এমআরপি কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। এ জন্য তারা বিদেশি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলে। এসব পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসল ঘটনা উদ্ঘাটনে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামী সোমবার কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ব্রি. জে. মো. মাসুদ রেজওয়ান বলেন, দুই প্রতিষ্ঠানের কারিগরি জটিলতা উদ্ঘাটনে অডিট কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সোমবার সুইজারল্যান্ডের অডিট কোম্পানি সেলেক্স এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান করে ২৯ মে এমআরপি কার্যক্রম চালু করার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

যোগাযোগ করা হলে ডাটাএজ-আইপিপল কনসোর্টিয়ামের সৈয়দ আহসান হাবীব বলেন, বিদেশি কোম্পানিটির অসহযোগিতার কারণে এত দিন কাজ করা সম্ভব হয়নি। আমরা আশা করছি, অডিট কমিটি প্রকৃত ঘটনা বের করে ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিক কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এমআরপি আবেদন-প্রক্রিয়া সম্পাদনে অপ্রতুল ব্যবস্থা থাকার ফলে বহুদিন ধরে নানাবিধ ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন। অচিরেই এর অবসান ঘটবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যে রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, তাতে আবেদনকারীদের আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদ-বৃষ্টিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষাশেষে ফিরে যেতে হবে না। হেল্পলাইনে ফোন করে তাদের সুবিধামতো, এমনকী ছুটির দিনও অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে এসে আধা ঘণ্টার মধ্যে কাজ সেরে যেতে পারবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে তাদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাউঞ্জের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.