সাগরভাসা অভিবাসীদের আশ্রয় দেবে না অস্ট্রেলিয়া —টনি অ্যাব

images(1)দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দিকে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অভিবাসীদের আশ্রয় দেবে না অস্ট্রেলিয়া। এসব অভিবাসীকে কোনো সহায়তা দেয়া হলে সংকটের সমাধান হবে না বরং তা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট।
এ অভিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য সহায়তা চেয়ে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। এ আবেদনে অস্ট্রেলিয়া সাড়া দেবে কিনা, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকরা অ্যাবটের কাছে জানতে চাইলে জোর গলায় তিনবার ‘না’ বলে ওঠেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে কট্টর অবস্থান নিয়েছে টনি অ্যাবটের নেতৃত্বাধীন দেশটির রক্ষণশীল সরকার। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সামরিক বাহিনীর সহায়তায় দ্বীপ মহাদেশটিতে পৌঁছানোর আগেই আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ। অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে সক্ষম হলেও আন্তর্জাতিক দায় লঙ্ঘনের অভিযোগে সমালোচিত হয়েছে অ্যাবট সরকার।
সাংবাদিকদের অ্যাবট বলেন, ‘অভিবাসনে উত্সাহ দেয়ার মতো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হলে তাতে সংকট আরো বাড়বে। এ পদক্ষেপ যত সামান্যই হোক না কেন।’
মানব পাচার ঠেকাতে থাইল্যান্ডের সরকার দমন অভিযান শুরু করলে বিপাকে পড়ে অভিবাসীরা। দেশত্যাগের জন্য তারা মানব পাচারকারীদের সহায়তা নিচ্ছিল। থাই দমন অভিযান থেকে বাঁচার জন্য গভীর সাগরে অভিবাসী বোঝাই নৌকা ফেলে পালিয়ে গেছে পাচারকারীরা। ফলে খাবার ও পানির সংকটে পড়ে গভীর সাগরে অসহায়ভাবে ভেসে বেড়াচ্ছে এসব অভিবাসী। নৌকা উপকূলের কাছাকাছি এলে সাঁতরে অথবা স্থানীয় বাসিন্দা ও উপকূলরক্ষীদের সহায়তায় তীরে আশ্রয় নিচ্ছেন তারা। এভাবে গত ১০ দিনে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় তিন হাজার অভিবাসী।
মানব পাচার বন্ধে যা কিছু করণীয়, অস্ট্রেলিয়া সরকার তার সবই করবে বলে জানিয়েছেন অ্যাবট। তিনি বলেন ‘আর তা করতে গেলে একটা বিষয় পরিষ্কার করে দেয়া দরকার, পশ্চিমা দেশগুলোয় অবৈধ পথে এসে নতুন জীবন শুরু করা অসম্ভব।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.